ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৪

সাগর চৌধুরী

লেখক, কলকাতা থেকে

প্রকাশ: 18 Nov 2021

2585 বার পড়া হয়েছে

Shoes

বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। একদা কর্মরত ছিলেন বিবিসি’র বাংলা বিভাগে। তারও আগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থায়। একদা নানান কাজের ভিড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইংরেজি সাবটাইটেল রচনার কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকদের সিনেমায় তিনি ছিলেন সাবটাইটেল লেখক। এখন এক ধরণের অবসর জীবন যাপন করছেন। বসবাস করেন কলকাতা শহরে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কিছুটা মেরুদূর হলেও কলম থেমে যায়নি। বই লিখছেন, অনুবাদ করছেন। সাগর চৌধুরী জীবনকে দেখেছেন নানান কৌণিকে আলো ফেলে। দীর্ঘদিন বিলেতে ছিলেন। ঘুরেও বেড়িয়েছেন নানান দেশে। জীবনও তাকে দেখেছে খুব কাছে থেকে। সেই জীবনপ্রবাহের গল্প শোনাতেই প্রাণের বাংলার জন্য কলম ধরলেন সাগর চৌধুরী। প্রাণের বাংলার পাতায় এখন থেকে জীবনের গল্প বলবেন তিনি।

চার.

গৌরীপুরের রাজবাড়ির দিঘি আমার শৈশবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অকুস্থল, বলেছিলাম ইতিপূর্বে। তার বিবরণের আগে সংক্ষিপ্ত প্রাক্কথা।
আমার ছোটবেলায়, যখন আমি সবে অল্পসল্প বাংলা পড়তে শুরু করেছি, কোন একটা শিশুতোষ পত্রিকা হাতে পেয়েছিলাম। তার মধ্যে একটা খুব মজার ছড়া বা কবিতা ছিল যার নাম ‘জলে না নামিলে কেহ শেখে না সাঁতার’। বহু বছর পরে আজও এই নামটা মনে থাকার কারণ হলো ছড়ার সঙ্গে দেওয়া রঙিন ছবিটি। একটি কৃশকায় কিশোর বা তরুণ নগ্নদেহে ঊর্ধবাহু হয়ে একটা উঁচু টুলের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে অনেকটা যেন লাফ দেওয়ার ভঙ্গীতে সামনের দিকে ঝুঁকে, তার পরনে একটা লাল রঙের জাঙিয়া জাতীয় কিছু (অনেক পরে জেনেছি এটার নাম ‘স্যুইমিং ট্রাংক’), দন্তবিকশিত মুখে একটা ‘এই দিলাম ঝাঁপ’ গোছের মরিয়া ভাব। টুলের সামনে মেঝেতে রাখা একটা বেশ বড়সড় কানা-উঁচু থালা, জলে টইটুম্বুর ভরা। পাশেই পড়ে আছে একটা ওলটানো চটি বই যার মলাটে লেখা ‘সহজ সন্তরণ শিক্ষা’। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে ঐ থালার জলেই লাফিয়ে পড়ার জন্য সে প্রস্তুত। সত্যিই থালার জলে সে লাফিয়ে পড়েছিলো কিনা, অথবা থালার জলে সাঁতার শেখা সত্যিই সম্ভব কিনা, সেটা জানার সুযোগ শেষ পর্যন্ত অবশ্য হয়নি। তবে একবার আমার এক বন্ধুর চার বছর বয়সী ছেলেকে ঐ ছড়াটা গল্পের মতো করে বলেছিলাম। সে সময়ে শিশুটির মা পাশেই বসেছিলেন এবং মন দিয়ে গল্পটা শোনার পর এই অতি সরলমতি মহিলা উৎসুক হয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ‘আচ্ছা, এরকম সাঁতার শেখার থালা কি সত্যিই পাওয়া যায়?’ বলা বাহুল্য তাঁর প্রশ্নের কোন সদুত্তর আমি দিতে পারিনি। তবে সে যাই হোক, সাঁতার শেখা, থালায় না হলেও পুকুরে বা অন্য কোন জলাশয়ে, একেবারে অসম্ভব কোন ব্যাপার তো নয়ই, খুব একটা সময়সাপেক্ষও নয়। আমার নিজের সন্তরণ শিক্ষার বিবরণ থেকেই বোধ করি সেটা বোঝা যাবে।

আমার বয়স তখন নয় কিংবা দশ, গৌরীপুরে মামাবাড়িতে থেকে স্কুলে পড়ি। বাবার ঘন ঘন বদলির চাকরি, মাকেও তাঁর সঙ্গেই ঘুরতে হয়, তাই আমার জন্য এই ব্যবস্থা। দুই মামার মধ্যে বড়মামা বাড়ির কর্তা, রাশভারি, মেজাজী মানুষ। তাঁর ছেলে রুণু, আমার মামাতো ভাই, আমার চেয়ে একটু ছোট হলেও আমাদের দু’জনের মধ্যে যথেষ্ট ভাব, স্কুলে যাওয়া-আসা, খেলাধুলা, দস্যিপনা সবই এক সঙ্গে। আমাদের স্কুলে গরমের ছুটি হতো বেশ লম্বা, আসলে বর্ষারই ছুটি। ছুটিতে পড়াশোনার তেমন চাপ থাকতো না বটে, তবে মাঝেমধ্যে একটু একঘেয়েও লাগতো। মামারা তো দিনের বেলা বাড়ি থাকতেন না, মামী-মাসীরাও আমাদের দিকে সর্বক্ষণ কড়া নজর রাখার দরকার আছে বলে মনে করতেন না। তাই রোজই দুপুরের খাওয়ার পর তাঁদের ও বাড়ির কাজের লোকদের চোখ এড়িয়ে আমরা দুই ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এদিক-ওদিক টো-টো করে ঘুরতাম, বৃষ্টিবাদলাকেও গ্রাহ্যই করতাম না।তেমনই এক দুপুরে আমরা বেরিয়েছি, রুণু বললো, ‘দাদা, চলো বাজারে গিয়ে কাঠি-বরফ খাই। আমার কাছে দু-আনা আছে।’ তখন কাঠির ডগায় লাগানো বরফের মিষ্টি রঙিন গোলা পাওয়া যেতো এক আনায় দুটো করে। আমাদের পাড়া থেকে বাজারে যাওয়ার পথ ছিলো ঐ বিশাল রাজবাড়ির দিঘির পাশ দিয়ে। দিঘির পরেই একটা বড় খেলার মাঠ, মাঠ পেরোলেই বাজার। দিঘি পেরিয়ে মাঠের ধারে পৌঁছে দেখি সেখানে একটা বড়সড় কূয়ো বা ইঁদারা বানানোর জন্য বিরাট গর্ত খোঁড়া হয়েছে। গর্তটা ঘোলা জলে কানায় কানায় ভরা, বাঁশের কঞ্চির বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা আর বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে নরম মাটিতে গজানো লম্বা লম্বা ঘাসের ডগায় ডগায় রঙবেরঙের অনেক ফড়িং উড়ে বেড়াচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আমরা দুই ভাইই তো মোহিত, কাঠি-বরফের কথা ভুলে বেড়ার ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে ফড়িং ধরার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। সেটা করতে গিয়ে কখন যে ইঁদারার কাঁচা মাটির দেওয়ালের মাথায় উঠে পড়েছি বুঝতেই পারিনি, হঠাৎ সড়াৎ করে আমার পায়ের তলায় আলগা মাটি সরে গেলো আর নিমেষের মধ্যে আমি পলকা কঞ্চির বেড়া ভেঙে পিছলে একেবারে ঐ ঘোলা জলের মধ্যে গিয়ে পড়লাম। পড়েই বোধ হয় ডুবেও গেলাম, হাত-পা ছুঁড়ে ভেসে ওঠার মরিয়া চেষ্টাও হয়তো করলাম, কিন্তু কোন লাভ হলো না, হাঁসফাঁস করতে করতে আবার ডুবে গেলাম।

এত বছর পরেও আমার মনে আছে কেমন করে আমি ঘোলা জলের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছি, দম বন্ধ হয়ে আসছে, ঝাপসা হয়ে আসা চোখের সামনে যেন কতগুলো হলুদ-সবুজ ঢেউয়ের মতো দেখতে পাচ্ছি, তারপর সব অন্ধকার। হঠাৎ, ঐ প্রায় অচৈতন্য অবস্থাতেও, কানের পাশে যেন শুনলাম ‘ঝপাস্’ করে একটা অদ্ভূত ভোঁতা আওয়াজ। পরক্ষণেই কেউ একজন শক্ত মুঠিতে আমার মাথার চুল খামচে ধরে হ্যাঁচকা টানে আমাকে জলের ওপরে ভাসিয়ে তুললো, তার পরেই ইঁদারার কিনারা টপ্কে ওপাশের শক্ত জমিতে আছড়ে ফেললো। তালগোল পাকিয়ে মাটিতে পড়ার পর কয়েক মুহূর্ত আমি বুঝতেই পারছিলাম না আমি কোথায়, আমার কী হয়েছে। দম ফেলতে পারছিলাম না, চোখে কিছু দেখতেও পাচ্ছিলাম না, হয়তো চোখ খুলছিলই না। কিছুক্ষণ পর, জানিনা কতক্ষণ, চোখ খুলতে পারার পর দেখলাম আমার মুখের ওপর ঝুঁকে রয়েছে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এক জোড়া চোখ। দুই চোখের মালিককেও দেখতে পেলাম এক মুহূর্ত পরে, মধ্যবয়স্ক একজন মানুষ, যাঁর মাথার ছোট করে ছাঁটা কাঁচাপাকা চুল আর সমস্ত শরীর জলে ভেজা, নিশ্চয়ই আমার নিজের শরীরের মতোই। আমাকে চোখ খুলতে দেখে তাঁর চোখে উদ্বেগের বদলে ফুটে উঠলো রাগ। শক্ত হাতে আমাকে তুলে বসিয়ে তিনি অবাঙালি টানে ধমকের সুরে বললেন, ‘ইন্দারায় নামছিলে কেনো? হামি না দেখলে তো মরিয়ে যাইতে!’ উত্তরে আমি আর কী বলবো? গরুচোরের মতো মাথা নিচু করে চুপ করে রইলাম। এবার তিনি আমাকে হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দিয়ে আগের মতোই রুক্ষ স্বরে বললেন, ‘যাও, ঘর যাও। ফির কখনো এমোন কাম করিবে না।’ এতক্ষণে লোকটিকে আমি চিনতে পেরেছি, দিঘির পাশে রাস্তার ওধারে মুদির দোকানের বিহারী মালিক, এ তল্লাটের পুরনো লোক, সবাইকে চেনেন, তাঁকেও চেনে সবাই। বুঝতে পারলাম আমার, সেই সঙ্গে রুণুরও, দুঃখ আছে কপালে।

অচিরেই মামাদের কানে উঠবে ঘটনাটা, আর তারপর যে কী হবে! রুণুর দিকে তাকিয়ে দেখি বেচারার মুখচোখ ফ্যাকাসে, চোখের জলে নাকের জলে একাকার। যাই হোক, বাজারে গিয়ে কাঠি-বরফ খাওয়ার কথা ততক্ষণে মাথা থেকে উধাও হয়ে গেছে, দুজনে হাত ধরাধরি করে গুটিগুটি পায়ে বাড়ির দিকে এগোতে এগোতে মতলব আঁটতে লাগলাম আমার জলকাদায় মাখামাখি জামাকাপড়ের কী ব্যাখ্যা মামী-মাসীদের কাছে দেওয়া যাবে। তখনকার মতো ব্যাপারটা ম্যানেজ করা তেমন কঠিন হলো না। রুণু বেশ বিশ্বাসযোগ্যভাবেই সবাইকে বুঝিয়ে বললো, ‘খেলার মাঠের ধারে ঐ সরু খালটা আছে না, বাজারের আগেই? ঐ দিক দিয়ে গেলেই তো তাড়াতাড়ি হয়, তাই লাফ দিয়ে খালটা পেরোতে গিয়েই দাদা পা পিছলে ওটার মধ্যে পড়ে গেল, আর . . .।’ মামী-মাসীরাও বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন না ‘বাঁদরদুটো জ্বালিয়ে খেলো’ মন্তব্য করা ছাড়া, কিন্তু আসল বিপর্যয় ঘটলো আরো পরে।
বড়মামার নিয়মিত অভ্যাস ছিল সন্ধ্যার পর একবার বাজারে ঢুঁ মারা। ঐ সন্ধ্যাতেও তিনি বেরিয়েছেন বাজারের পথে। দিঘির সামনে পৌঁছাতেই আমার রক্ষাকর্তা দোকানদার তাঁকে দেখতে পেয়ে চেঁচিয়ে ডাকলেন, ‘ও বড়াবাবু, শুনিয়ে যান ।’ বড়মামা থমকে দাঁড়াতেই তিনি দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘আপনার ভাগিনা তো আজকে মরিয়ে যাচ্ছিলো, হামি ওখানে না থাকলে তো বাঁচতোই না!’ আনুপূর্বিক বিবরণ শোনার পর বড়মামা বাজারে যাওয়া মুলতুবি রেখে সোজা বাড়ি ফিরে এলেন, আমাদের দুই ভাইকে ডেকে সামনে দাঁড় করিয়ে কয়েক মিনিট যাকে বলে ‘নিরীক্ষণ’ করলেন গম্ভীরভাবে কোন উচ্চবাচ্য ছাড়াই, তারপর গলা তুলে হাঁক দিলেন, ‘বাবুলাল  !’

বাবুলালও একটি বিহারী যুবক, বড়মামার খাস লোক, তাঁর যে কোন হুকুম নির্বিচারে তামিল করার জন্য হামেহাল হাজির। হাঁক শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সে শশব্যস্তে সামনে এসে দাঁড়ালো, ‘জী বড়াবাবু ?’ তার দিকে তাকিয়ে বড়মামা বললেন, ‘শোন্, কাল সকালে তোর একটাই কাজ এই দু’টোকে (অর্থাৎ আমাদের দুই ভাইকে) রাজবাড়ির দিঘিতে নিয়ে যাবি সাঁতার শেখানোর জন্য। যতক্ষণ না শিখতে পারছে বাড়িতে ফেরত আনবি না। কালকের মধ্যেই সাঁতার শিখতেই হবে ওদের। বুঝেছিস তো?’
বশংবদ বাবুলাল ঘাড় নেড়ে বললো, ‘জী, বিলকুল।’
সে রাতটা যে কী দুঃসহ উদ্বেগে কাটলো দুই ভাইয়ের! কয়েক বছর আগেও বিজয়া দশমীর সকালে পাড়ার পুজোর প্যান্ডালে একটা গান বাজতে শোনা যেত  ‘নবমীর নিশিরে, কেন হইলি ভোর?’ আমাদের মনের আকুল আর্তিও তেমনই, রাত কেটে সকাল যেন আর না হয়! কিন্তু নিশিও কাটলো, ভোরও হলো, কয়েক মিনিট বাদে বাবুলালও মূর্তিমান দুঃস্বপ্নের মতো সামনে এসে দাঁড়ালো, ‘এখনও নাশতা শেষ হলো না? চলো, চলো আওর দেরী করলে সান্তার শিখতে ভি জেয়াদা দেরী হয়ে যাবে, বড়াবাবু গুস্সা হোবেন।’

বাবুলালের সাঁতার শেখানোর প্রক্রিয়া কী আর বলবো  এক কথায় অমানুষিক! রাজবাড়ির দিঘির বাঁধানো ঘাটের উঁচু ধাপিতে আমাদের দু’জনকে খালি গায়ে দাঁড় করিয়ে দিল। তারপর হঠাৎ বলিষ্ঠ দুই হাতে আমার কোমর চেপে ধরে মাটি থেকে দু’হাত ওপরে তুলে ধরলো আর, আমি কিছু বুঝে উঠবার আগেই, আমাকে ছুঁড়ে ফেললো কয়েক হাত দূরে দিঘির জলের মধ্যে! ছট্ফট্ করতে করতে আর খাবি খেতে খেতে যখন প্রায় তলিয়ে গিয়েছি তখন বাবুলাল নিজে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার ঘাড় ধরে টেনে তুলে ঘাটের ধাপিতে বসিয়ে দিলো। পরমুহূর্তেই রুণু বেচারিরও একই দশা হলো, সেও একটা পোঁটলার মতো ঝপাং করে জলে গিয়ে পড়লো আর আমারই মতো তলিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে তাকেও জল থেকে টেনে তুলে এনে আমার পাশে বসিয়ে দিলো বাবুলাল। আবার আমার পালা, তারপর আবার রুণুর, আবার আমার, আবার রুণুর, এইভাবে চলতে লাগলো বিরামহীনভাবে। বাবুলালের ক্লান্তি নেই, আমরা দুই ভাই ক্লান্তির বোধই হারিয়ে ফেলেছি। কতক্ষণ এইভাবে চলেছিল এখন আর মনে নেই, দু’ঘন্টা হতে পারে কিংবা তিন ঘন্টাও। তবে এইটুকু মনে আছে যে একটা সময়ে আমাদের দু’জনেরই চোখ হয়ে উঠেছে টক্টকে লাল (বাড়ি ফেরার পর মামী-মাসীরা তাই বলেছিলেন), গায়ের চামড়া ফ্যাকাশে হয়ে কুঁচকে গেছে, পা সোজা করে দাঁড়াতে পারছি না  কিন্তু জলে পড়লে আর ডুবে যাচ্ছি না, দিব্যি ভেসে থাকছি হাঁসের ছানার মতো, কিংবা বলা ভালো কলাগাছেরকাণ্ডের মতো! বাবুলালও আমাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টই হলো মনে হয়, কারণ সে গম্ভীরভাবে মন্তব্য করলো, ‘আওর কোন দিক্কত নাই, ইন্দারায় ইয়া দিঘির পানিতে ফির কোন মুসিবত হোবে না। বড়াবাবু খুশ হোবেন।’ বড়াবাবুুকে খুশ করতে পেরে সে নিজেও যারপরনাই খুশ। (চলবে)

ছবিঃ গুগল

 

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199