বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। একদা কর্মরত ছিলেন বিবিসি’র বাংলা বিভাগে। তারও আগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থায়। একদা নানান কাজের ভিড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইংরেজি সাবটাইটেল রচনার কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকদের সিনেমায় তিনি ছিলেন সাবটাইটেল লেখক। এখন এক ধরণের অবসর জীবন যাপন করছেন। বসবাস করেন কলকাতা শহরে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কিছুটা মেরুদূর হলেও কলম থেমে যায়নি। বই লিখছেন, অনুবাদ করছেন। সাগর চৌধুরী জীবনকে দেখেছেন নানান কৌণিকে আলো ফেলে। দীর্ঘদিন বিলেতে ছিলেন। ঘুরেও বেড়িয়েছেন নানান দেশে। জীবনও তাকে দেখেছে খুব কাছে থেকে। সেই জীবনপ্রবাহের গল্প শোনাতেই প্রাণের বাংলার জন্য কলম ধরলেন সাগর চৌধুরী। প্রাণের বাংলার পাতায় এখন থেকে জীবনের গল্প বলবেন তিনি।
চার.
গৌরীপুরের রাজবাড়ির দিঘি আমার শৈশবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অকুস্থল, বলেছিলাম ইতিপূর্বে। তার বিবরণের আগে সংক্ষিপ্ত প্রাক্কথা।
আমার ছোটবেলায়, যখন আমি সবে অল্পসল্প বাংলা পড়তে শুরু করেছি, কোন একটা শিশুতোষ পত্রিকা হাতে পেয়েছিলাম। তার মধ্যে একটা খুব মজার ছড়া বা কবিতা ছিল যার নাম ‘জলে না নামিলে কেহ শেখে না সাঁতার’। বহু বছর পরে আজও এই নামটা মনে থাকার কারণ হলো ছড়ার সঙ্গে দেওয়া রঙিন ছবিটি। একটি কৃশকায় কিশোর বা তরুণ নগ্নদেহে ঊর্ধবাহু হয়ে একটা উঁচু টুলের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে অনেকটা যেন লাফ দেওয়ার ভঙ্গীতে সামনের দিকে ঝুঁকে, তার পরনে একটা লাল রঙের জাঙিয়া জাতীয় কিছু (অনেক পরে জেনেছি এটার নাম ‘স্যুইমিং ট্রাংক’), দন্তবিকশিত মুখে একটা ‘এই দিলাম ঝাঁপ’ গোছের মরিয়া ভাব। টুলের সামনে মেঝেতে রাখা একটা বেশ বড়সড় কানা-উঁচু থালা, জলে টইটুম্বুর ভরা। পাশেই পড়ে আছে একটা ওলটানো চটি বই যার মলাটে লেখা ‘সহজ সন্তরণ শিক্ষা’। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে ঐ থালার জলেই লাফিয়ে পড়ার জন্য সে প্রস্তুত। সত্যিই থালার জলে সে লাফিয়ে পড়েছিলো কিনা, অথবা থালার জলে সাঁতার শেখা সত্যিই সম্ভব কিনা, সেটা জানার সুযোগ শেষ পর্যন্ত অবশ্য হয়নি। তবে একবার আমার এক বন্ধুর চার বছর বয়সী ছেলেকে ঐ ছড়াটা গল্পের মতো করে বলেছিলাম। সে সময়ে শিশুটির মা পাশেই বসেছিলেন এবং মন দিয়ে গল্পটা শোনার পর এই অতি সরলমতি মহিলা উৎসুক হয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ‘আচ্ছা, এরকম সাঁতার শেখার থালা কি সত্যিই পাওয়া যায়?’ বলা বাহুল্য তাঁর প্রশ্নের কোন সদুত্তর আমি দিতে পারিনি। তবে সে যাই হোক, সাঁতার শেখা, থালায় না হলেও পুকুরে বা অন্য কোন জলাশয়ে, একেবারে অসম্ভব কোন ব্যাপার তো নয়ই, খুব একটা সময়সাপেক্ষও নয়। আমার নিজের সন্তরণ শিক্ষার বিবরণ থেকেই বোধ করি সেটা বোঝা যাবে।
আমার বয়স তখন নয় কিংবা দশ, গৌরীপুরে মামাবাড়িতে থেকে স্কুলে পড়ি। বাবার ঘন ঘন বদলির চাকরি, মাকেও তাঁর সঙ্গেই ঘুরতে হয়, তাই আমার জন্য এই ব্যবস্থা। দুই মামার মধ্যে বড়মামা বাড়ির কর্তা, রাশভারি, মেজাজী মানুষ। তাঁর ছেলে রুণু, আমার মামাতো ভাই, আমার চেয়ে একটু ছোট হলেও আমাদের দু’জনের মধ্যে যথেষ্ট ভাব, স্কুলে যাওয়া-আসা, খেলাধুলা, দস্যিপনা সবই এক সঙ্গে। আমাদের স্কুলে গরমের ছুটি হতো বেশ লম্বা, আসলে বর্ষারই ছুটি। ছুটিতে পড়াশোনার তেমন চাপ থাকতো না বটে, তবে মাঝেমধ্যে একটু একঘেয়েও লাগতো। মামারা তো দিনের বেলা বাড়ি থাকতেন না, মামী-মাসীরাও আমাদের দিকে সর্বক্ষণ কড়া নজর রাখার দরকার আছে বলে মনে করতেন না। তাই রোজই দুপুরের খাওয়ার পর তাঁদের ও বাড়ির কাজের লোকদের চোখ এড়িয়ে আমরা দুই ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এদিক-ওদিক টো-টো করে ঘুরতাম, বৃষ্টিবাদলাকেও গ্রাহ্যই করতাম না।তেমনই এক দুপুরে আমরা বেরিয়েছি, রুণু বললো, ‘দাদা, চলো বাজারে গিয়ে কাঠি-বরফ খাই। আমার কাছে দু-আনা আছে।’ তখন কাঠির ডগায় লাগানো বরফের মিষ্টি রঙিন গোলা পাওয়া যেতো এক আনায় দুটো করে। আমাদের পাড়া থেকে বাজারে যাওয়ার পথ ছিলো ঐ বিশাল রাজবাড়ির দিঘির পাশ দিয়ে। দিঘির পরেই একটা বড় খেলার মাঠ, মাঠ পেরোলেই বাজার। দিঘি পেরিয়ে মাঠের ধারে পৌঁছে দেখি সেখানে একটা বড়সড় কূয়ো বা ইঁদারা বানানোর জন্য বিরাট গর্ত খোঁড়া হয়েছে। গর্তটা ঘোলা জলে কানায় কানায় ভরা, বাঁশের কঞ্চির বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা আর বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে নরম মাটিতে গজানো লম্বা লম্বা ঘাসের ডগায় ডগায় রঙবেরঙের অনেক ফড়িং উড়ে বেড়াচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আমরা দুই ভাইই তো মোহিত, কাঠি-বরফের কথা ভুলে বেড়ার ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে ফড়িং ধরার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। সেটা করতে গিয়ে কখন যে ইঁদারার কাঁচা মাটির দেওয়ালের মাথায় উঠে পড়েছি বুঝতেই পারিনি, হঠাৎ সড়াৎ করে আমার পায়ের তলায় আলগা মাটি সরে গেলো আর নিমেষের মধ্যে আমি পলকা কঞ্চির বেড়া ভেঙে পিছলে একেবারে ঐ ঘোলা জলের মধ্যে গিয়ে পড়লাম। পড়েই বোধ হয় ডুবেও গেলাম, হাত-পা ছুঁড়ে ভেসে ওঠার মরিয়া চেষ্টাও হয়তো করলাম, কিন্তু কোন লাভ হলো না, হাঁসফাঁস করতে করতে আবার ডুবে গেলাম।
এত বছর পরেও আমার মনে আছে কেমন করে আমি ঘোলা জলের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছি, দম বন্ধ হয়ে আসছে, ঝাপসা হয়ে আসা চোখের সামনে যেন কতগুলো হলুদ-সবুজ ঢেউয়ের মতো দেখতে পাচ্ছি, তারপর সব অন্ধকার। হঠাৎ, ঐ প্রায় অচৈতন্য অবস্থাতেও, কানের পাশে যেন শুনলাম ‘ঝপাস্’ করে একটা অদ্ভূত ভোঁতা আওয়াজ। পরক্ষণেই কেউ একজন শক্ত মুঠিতে আমার মাথার চুল খামচে ধরে হ্যাঁচকা টানে আমাকে জলের ওপরে ভাসিয়ে তুললো, তার পরেই ইঁদারার কিনারা টপ্কে ওপাশের শক্ত জমিতে আছড়ে ফেললো। তালগোল পাকিয়ে মাটিতে পড়ার পর কয়েক মুহূর্ত আমি বুঝতেই পারছিলাম না আমি কোথায়, আমার কী হয়েছে। দম ফেলতে পারছিলাম না, চোখে কিছু দেখতেও পাচ্ছিলাম না, হয়তো চোখ খুলছিলই না। কিছুক্ষণ পর, জানিনা কতক্ষণ, চোখ খুলতে পারার পর দেখলাম আমার মুখের ওপর ঝুঁকে রয়েছে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এক জোড়া চোখ। দুই চোখের মালিককেও দেখতে পেলাম এক মুহূর্ত পরে, মধ্যবয়স্ক একজন মানুষ, যাঁর মাথার ছোট করে ছাঁটা কাঁচাপাকা চুল আর সমস্ত শরীর জলে ভেজা, নিশ্চয়ই আমার নিজের শরীরের মতোই। আমাকে চোখ খুলতে দেখে তাঁর চোখে উদ্বেগের বদলে ফুটে উঠলো রাগ। শক্ত হাতে আমাকে তুলে বসিয়ে তিনি অবাঙালি টানে ধমকের সুরে বললেন, ‘ইন্দারায় নামছিলে কেনো? হামি না দেখলে তো মরিয়ে যাইতে!’ উত্তরে আমি আর কী বলবো? গরুচোরের মতো মাথা নিচু করে চুপ করে রইলাম। এবার তিনি আমাকে হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দিয়ে আগের মতোই রুক্ষ স্বরে বললেন, ‘যাও, ঘর যাও। ফির কখনো এমোন কাম করিবে না।’ এতক্ষণে লোকটিকে আমি চিনতে পেরেছি, দিঘির পাশে রাস্তার ওধারে মুদির দোকানের বিহারী মালিক, এ তল্লাটের পুরনো লোক, সবাইকে চেনেন, তাঁকেও চেনে সবাই। বুঝতে পারলাম আমার, সেই সঙ্গে রুণুরও, দুঃখ আছে কপালে।
অচিরেই মামাদের কানে উঠবে ঘটনাটা, আর তারপর যে কী হবে! রুণুর দিকে তাকিয়ে দেখি বেচারার মুখচোখ ফ্যাকাসে, চোখের জলে নাকের জলে একাকার। যাই হোক, বাজারে গিয়ে কাঠি-বরফ খাওয়ার কথা ততক্ষণে মাথা থেকে উধাও হয়ে গেছে, দুজনে হাত ধরাধরি করে গুটিগুটি পায়ে বাড়ির দিকে এগোতে এগোতে মতলব আঁটতে লাগলাম আমার জলকাদায় মাখামাখি জামাকাপড়ের কী ব্যাখ্যা মামী-মাসীদের কাছে দেওয়া যাবে। তখনকার মতো ব্যাপারটা ম্যানেজ করা তেমন কঠিন হলো না। রুণু বেশ বিশ্বাসযোগ্যভাবেই সবাইকে বুঝিয়ে বললো, ‘খেলার মাঠের ধারে ঐ সরু খালটা আছে না, বাজারের আগেই? ঐ দিক দিয়ে গেলেই তো তাড়াতাড়ি হয়, তাই লাফ দিয়ে খালটা পেরোতে গিয়েই দাদা পা পিছলে ওটার মধ্যে পড়ে গেল, আর . . .।’ মামী-মাসীরাও বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন না ‘বাঁদরদুটো জ্বালিয়ে খেলো’ মন্তব্য করা ছাড়া, কিন্তু আসল বিপর্যয় ঘটলো আরো পরে।
বড়মামার নিয়মিত অভ্যাস ছিল সন্ধ্যার পর একবার বাজারে ঢুঁ মারা। ঐ সন্ধ্যাতেও তিনি বেরিয়েছেন বাজারের পথে। দিঘির সামনে পৌঁছাতেই আমার রক্ষাকর্তা দোকানদার তাঁকে দেখতে পেয়ে চেঁচিয়ে ডাকলেন, ‘ও বড়াবাবু, শুনিয়ে যান ।’ বড়মামা থমকে দাঁড়াতেই তিনি দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘আপনার ভাগিনা তো আজকে মরিয়ে যাচ্ছিলো, হামি ওখানে না থাকলে তো বাঁচতোই না!’ আনুপূর্বিক বিবরণ শোনার পর বড়মামা বাজারে যাওয়া মুলতুবি রেখে সোজা বাড়ি ফিরে এলেন, আমাদের দুই ভাইকে ডেকে সামনে দাঁড় করিয়ে কয়েক মিনিট যাকে বলে ‘নিরীক্ষণ’ করলেন গম্ভীরভাবে কোন উচ্চবাচ্য ছাড়াই, তারপর গলা তুলে হাঁক দিলেন, ‘বাবুলাল !’
বাবুলালও একটি বিহারী যুবক, বড়মামার খাস লোক, তাঁর যে কোন হুকুম নির্বিচারে তামিল করার জন্য হামেহাল হাজির। হাঁক শোনার সঙ্গে সঙ্গেই সে শশব্যস্তে সামনে এসে দাঁড়ালো, ‘জী বড়াবাবু ?’ তার দিকে তাকিয়ে বড়মামা বললেন, ‘শোন্, কাল সকালে তোর একটাই কাজ এই দু’টোকে (অর্থাৎ আমাদের দুই ভাইকে) রাজবাড়ির দিঘিতে নিয়ে যাবি সাঁতার শেখানোর জন্য। যতক্ষণ না শিখতে পারছে বাড়িতে ফেরত আনবি না। কালকের মধ্যেই সাঁতার শিখতেই হবে ওদের। বুঝেছিস তো?’
বশংবদ বাবুলাল ঘাড় নেড়ে বললো, ‘জী, বিলকুল।’
সে রাতটা যে কী দুঃসহ উদ্বেগে কাটলো দুই ভাইয়ের! কয়েক বছর আগেও বিজয়া দশমীর সকালে পাড়ার পুজোর প্যান্ডালে একটা গান বাজতে শোনা যেত ‘নবমীর নিশিরে, কেন হইলি ভোর?’ আমাদের মনের আকুল আর্তিও তেমনই, রাত কেটে সকাল যেন আর না হয়! কিন্তু নিশিও কাটলো, ভোরও হলো, কয়েক মিনিট বাদে বাবুলালও মূর্তিমান দুঃস্বপ্নের মতো সামনে এসে দাঁড়ালো, ‘এখনও নাশতা শেষ হলো না? চলো, চলো আওর দেরী করলে সান্তার শিখতে ভি জেয়াদা দেরী হয়ে যাবে, বড়াবাবু গুস্সা হোবেন।’
বাবুলালের সাঁতার শেখানোর প্রক্রিয়া কী আর বলবো এক কথায় অমানুষিক! রাজবাড়ির দিঘির বাঁধানো ঘাটের উঁচু ধাপিতে আমাদের দু’জনকে খালি গায়ে দাঁড় করিয়ে দিল। তারপর হঠাৎ বলিষ্ঠ দুই হাতে আমার কোমর চেপে ধরে মাটি থেকে দু’হাত ওপরে তুলে ধরলো আর, আমি কিছু বুঝে উঠবার আগেই, আমাকে ছুঁড়ে ফেললো কয়েক হাত দূরে দিঘির জলের মধ্যে! ছট্ফট্ করতে করতে আর খাবি খেতে খেতে যখন প্রায় তলিয়ে গিয়েছি তখন বাবুলাল নিজে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার ঘাড় ধরে টেনে তুলে ঘাটের ধাপিতে বসিয়ে দিলো। পরমুহূর্তেই রুণু বেচারিরও একই দশা হলো, সেও একটা পোঁটলার মতো ঝপাং করে জলে গিয়ে পড়লো আর আমারই মতো তলিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে তাকেও জল থেকে টেনে তুলে এনে আমার পাশে বসিয়ে দিলো বাবুলাল। আবার আমার পালা, তারপর আবার রুণুর, আবার আমার, আবার রুণুর, এইভাবে চলতে লাগলো বিরামহীনভাবে। বাবুলালের ক্লান্তি নেই, আমরা দুই ভাই ক্লান্তির বোধই হারিয়ে ফেলেছি। কতক্ষণ এইভাবে চলেছিল এখন আর মনে নেই, দু’ঘন্টা হতে পারে কিংবা তিন ঘন্টাও। তবে এইটুকু মনে আছে যে একটা সময়ে আমাদের দু’জনেরই চোখ হয়ে উঠেছে টক্টকে লাল (বাড়ি ফেরার পর মামী-মাসীরা তাই বলেছিলেন), গায়ের চামড়া ফ্যাকাশে হয়ে কুঁচকে গেছে, পা সোজা করে দাঁড়াতে পারছি না কিন্তু জলে পড়লে আর ডুবে যাচ্ছি না, দিব্যি ভেসে থাকছি হাঁসের ছানার মতো, কিংবা বলা ভালো কলাগাছেরকাণ্ডের মতো! বাবুলালও আমাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টই হলো মনে হয়, কারণ সে গম্ভীরভাবে মন্তব্য করলো, ‘আওর কোন দিক্কত নাই, ইন্দারায় ইয়া দিঘির পানিতে ফির কোন মুসিবত হোবে না। বড়াবাবু খুশ হোবেন।’ বড়াবাবুুকে খুশ করতে পেরে সে নিজেও যারপরনাই খুশ। (চলবে)
ছবিঃ গুগল
এস.এম. সুলতান : আমাদের চিত্রশিল্প জগতের আদমসুরত
23 Jan 2025
4270 বার পড়া হয়েছে
রাজনীতির টেবিলে…
16 Jan 2025
3465 বার পড়া হয়েছে
সঞ্জীব চৌধুরীকে স্মরণ: ছিলো গান ছিলো প্রাণ
2 Jan 2025
3775 বার পড়া হয়েছে
নতুন বোতলে পুরনো তারিখ
2 Jan 2025
2680 বার পড়া হয়েছে
সৈয়দ শামসুল হক ৮৯ তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা
27 Dec 2024
3270 বার পড়া হয়েছে
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়…
19 Dec 2024
2950 বার পড়া হয়েছে
চলে গেলেন আত্মিক দু‘জন মানুষ
13 Dec 2024
1955 বার পড়া হয়েছে
ডিসেম্বরের সেই দিনরাত্রিগুলি
5 Dec 2024
2130 বার পড়া হয়েছে
কোথায় যাচ্ছেন এলোমেলো বাবু
21 Nov 2024
2285 বার পড়া হয়েছে
শীতের চিঠির দ্বিতীয়াংশ
21 Nov 2024
1815 বার পড়া হয়েছে
শীতের চিঠির প্রথমাংশ
14 Nov 2024
1635 বার পড়া হয়েছে
তোমরা ফেলে দাও আমি তুলে রাখি
14 Nov 2024
1700 বার পড়া হয়েছে
বিদায়ী অভিবাদন, রাজনীতির শুদ্ধ ব্যক্তিত্ব অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী
17 Oct 2024
1645 বার পড়া হয়েছে
পূজার ছুটিতে…
10 Oct 2024
1670 বার পড়া হয়েছে
অর্থহীন ভাবনার ভেতর দিয়েই কখনও কখনও বেরিয়ে আসতো মূল ভাবনা
27 Jun 2024
1965 বার পড়া হয়েছে
ষাটের পথে ষাটের স্মৃতি …
27 Jun 2024
1905 বার পড়া হয়েছে
প্রফেশনাল জেলাসি আর অহংকার এক বিষয় নয়…
30 May 2024
2260 বার পড়া হয়েছে
সুর করা…
3 May 2024
3220 বার পড়া হয়েছে
আমার বৃক্ষের…
25 Apr 2024
4500 বার পড়া হয়েছে
ব্যান্ড করার ফর্মুলা
14 Mar 2024
2330 বার পড়া হয়েছে
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি
29 Feb 2024
2780 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
22 Feb 2024
3980 বার পড়া হয়েছে
জন্মস্থানে লালগালিচা সংবর্ধনা পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি
22 Feb 2024
2365 বার পড়া হয়েছে
আমাদের ব্যান্ডের গান কি সম্পূর্ণ ওয়েস্টার্ন
8 Feb 2024
2550 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
8 Feb 2024
2790 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
1 Feb 2024
2475 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর আকাশে এক পশলা বৃষ্টি
25 Jan 2024
3780 বার পড়া হয়েছে
প্রিয় আজম ভাই...
18 Jan 2024
3000 বার পড়া হয়েছে
সেই এক ট্রেনের গল্প
18 Jan 2024
2330 বার পড়া হয়েছে
স্টেজ পারফর্মেন্সর জন্য প্রযোজনীয় কিছু কথা…২
11 Jan 2024
2275 বার পড়া হয়েছে
অন্তরালে অসাধারণ রাশিদ খান…
11 Jan 2024
1905 বার পড়া হয়েছে
স্টেজ পারফর্মেন্সর জন্য প্রযোজনীয় কিছু কথা…
4 Jan 2024
2935 বার পড়া হয়েছে
বিকেলে বউ বাজার
28 Dec 2023
3740 বার পড়া হয়েছে
মানুষ ডাহুকও বটে
16 Dec 2023
1900 বার পড়া হয়েছে
বিজয়ের মাসে পথে শোনা কথা
13 Dec 2023
3335 বার পড়া হয়েছে
জীবন যেখানে যেমন...
7 Dec 2023
4030 বার পড়া হয়েছে
আবেগের লাগাম না হারানো শোভন, হারানোটা অনিরাপদ
17 Nov 2023
3770 বার পড়া হয়েছে
পাতা-ঝরার দিনগুলো
19 Oct 2023
5515 বার পড়া হয়েছে
একজন সোহান ভাই…
14 Sept 2023
4560 বার পড়া হয়েছে
চিঠিতে জানাবেন মোহন ভাই
1 Jun 2023
7795 বার পড়া হয়েছে
ভারতের ডুয়ার্সে বার্ডিং…
20 Apr 2023
3570 বার পড়া হয়েছে
স্পেনের বাস্ক অঞ্চলের আতিথেয়তা ও ভোজন
13 Apr 2023
4260 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩৪
10 Nov 2022
2550 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩৩
27 Oct 2022
2290 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩২
13 Oct 2022
2290 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩১
29 Sept 2022
1970 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩০
22 Sept 2022
2090 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৯
15 Sept 2022
1900 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৮
8 Sept 2022
1705 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৭
1 Sept 2022
2160 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৬
25 Aug 2022
2520 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৫
18 Aug 2022
1995 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৪
7 Jul 2022
1740 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২৩
23 Jun 2022
2165 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২২
16 Jun 2022
1895 বার পড়া হয়েছে
শব্দ করে পড়ার বৈচিত্রময় গুরুত্ব বিশ্বকে বুঝতে হবে
12 Jun 2022
1150 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২১
9 Jun 2022
1675 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২০
12 May 2022
1715 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৯
21 Apr 2022
1880 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৮
15 Apr 2022
1860 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৭
7 Apr 2022
1885 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৬
31 Mar 2022
1560 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৫
24 Mar 2022
1795 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৪
17 Mar 2022
1955 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১৩
3 Mar 2022
1635 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১২
24 Feb 2022
1725 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১১
17 Feb 2022
1675 বার পড়া হয়েছে
আমার মুক্তি এই আকাশে
10 Feb 2022
1970 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১০
3 Feb 2022
1755 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৯
30 Dec 2021
1545 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৮
23 Dec 2021
1630 বার পড়া হয়েছে
দুলছে হাওয়ায়
9 Dec 2021
1780 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৭
9 Dec 2021
1640 বার পড়া হয়েছে
আঁধার রাতের জাহাজ
2 Dec 2021
1650 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৬
2 Dec 2021
1880 বার পড়া হয়েছে
কান্না- হাসির দোল-দোলানো
25 Nov 2021
2230 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৫
25 Nov 2021
1860 বার পড়া হয়েছে
কাঠের সেই উটটি
18 Nov 2021
1760 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৪
18 Nov 2021
2585 বার পড়া হয়েছে
নাম না জানা মেয়েটি
11 Nov 2021
1535 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩
11 Nov 2021
1745 বার পড়া হয়েছে
সবারে আমি নমি
4 Nov 2021
1490 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ২
4 Nov 2021
2360 বার পড়া হয়েছে
ফেলেই দিলে
28 Oct 2021
1480 বার পড়া হয়েছে
ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ১
28 Oct 2021
2090 বার পড়া হয়েছে
জীবন জীবনেরই জন্যে
21 Oct 2021
1550 বার পড়া হয়েছে
তার আর পর নেই
7 Oct 2021
1495 বার পড়া হয়েছে
মরচে ধরা টর্চ
23 Sept 2021
1635 বার পড়া হয়েছে
পাতা-ঝরার দিন
16 Sept 2021
2155 বার পড়া হয়েছে
চমকে উঠলাম – ভেতরটা নাড়িয়ে দিল দৃশ্যটা
9 Sept 2021
1455 বার পড়া হয়েছে
আলো-আঁধারির আলেখ্য
2 Sept 2021
1360 বার পড়া হয়েছে
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
30 Aug 2021
1730 বার পড়া হয়েছে
আছে-নাই এর আলেখ্য
26 Aug 2021
1380 বার পড়া হয়েছে
জীবন-ছোঁয়া মেয়েটি
12 Aug 2021
1735 বার পড়া হয়েছে
যেতে তো হবেই
5 Aug 2021
1690 বার পড়া হয়েছে
সুতো
29 Jul 2021
1560 বার পড়া হয়েছে
মানুষের খোলস
15 Jul 2021
1685 বার পড়া হয়েছে
মনে আছে তো
8 Jul 2021
1595 বার পড়া হয়েছে
শেকড়ের সন্ধানে
1 Jul 2021
1360 বার পড়া হয়েছে
নীড়ে ফেরা পাখী
17 Jun 2021
1375 বার পড়া হয়েছে
কনে দেখা আলো
10 Jun 2021
1590 বার পড়া হয়েছে
দ্বীপের সেই সব মানুষেরা
3 Jun 2021
1635 বার পড়া হয়েছে
যে দ্বীপের বয়স চার’শো বছর
20 May 2021
1585 বার পড়া হয়েছে
অচেনা দ্বীপের পথযাত্রা
6 May 2021
1530 বার পড়া হয়েছে
আমার প্রতিবাদের ভাষা...
8 Oct 2020
3020 বার পড়া হয়েছে
আয় আয় চাঁদ মামা...
23 Jul 2020
2815 বার পড়া হয়েছে
করোনাকালীন মানসিক স্বাস্থ্য ...
10 May 2020
2885 বার পড়া হয়েছে
দ্বিতীয় সুবীর নন্দী আর পাবে না বাংলাদেশ
7 May 2020
1295 বার পড়া হয়েছে
বাড়ি বদলের আগুনে মিথিলা…
7 Nov 2019
1445 বার পড়া হয়েছে
বিচার চাই…
11 Apr 2019
1650 বার পড়া হয়েছে
মনখারাপের সঙ্গে আড়ি…
25 Dec 2018
1725 বার পড়া হয়েছে
আবার শিব্রাম চক্কোত্তি
20 Dec 2018
3125 বার পড়া হয়েছে
সন্দেশ ১০০
6 Dec 2018
3500 বার পড়া হয়েছে
সেই হাসিমুখ আর দেখবো না…
22 May 2018
1575 বার পড়া হয়েছে
তিলোত্তমা ও একজন...
17 May 2018
1590 বার পড়া হয়েছে
সেটুকু বাকী জীবন মিস করবো
3 May 2018
1625 বার পড়া হয়েছে
প্রাণের মানুষ, কাছের মানুষ
23 Nov 2017
1970 বার পড়া হয়েছে
স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।
Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]
Phone: +8801818189677, +8801717256199