ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তন ৩১

সাগর চৌধুরী

লেখক, কলকাতা থেকে

প্রকাশ: 29 Sept 2022

1990 বার পড়া হয়েছে

Shoes

বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগর চৌধুরী। একদা কর্মরত ছিলেন বিবিসি’র বাংলা বিভাগে। তারও আগে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকা এবং বার্তা সংস্থায়। একদা নানান কাজের ভিড়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইংরেজি সাবটাইটেল রচনার কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকদের সিনেমায় তিনি ছিলেন সাবটাইটেল লেখক। এখন এক ধরণের অবসর জীবন যাপন করছেন। বসবাস করেন কলকাতা শহরে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ কিছুটা মেরুদূর হলেও কলম থেমে যায়নি। বই লিখছেন, অনুবাদ করছেন। সাগর চৌধুরী জীবনকে দেখেছেন নানান কৌণিকে আলো ফেলে। দীর্ঘদিন বিলেতে ছিলেন। ঘুরেওবেড়িয়েছেন নানান দেশে। জীবনও তাকে দেখেছে খুব কাছে থেকে। সেই জীবনপ্রবাহের গল্প শোনাতেই প্রাণের বাংলার জন্য কলম ধরলেন সাগর চৌধুরী। প্রাণের বাংলার পাতায় এখন থেকে জীবনের গল্প বলবেন তিনি।

একত্রিশ.

মায়ের কথা - ১
কয়েক দিন ধরে আমার মায়ের কথা মনে পড়ছে খুব। না, বিশেষ কোন উপলক্ষ, যেমন মায়ের জন্মদিন অথবা ইহলোক ত্যাগের দিন, কোনোটাই ধারেকাছে নয়, তা সত্ত্বেও। তবে মায়ের কথা মনে পড়ার জন্য তেমন কোন কারণ বোধ করি সত্যিই জরুরী নয়।

আমার মা

আমার মায়ের চরিত্রের বা ব্যক্তিত্বের বর্ণনা দিতে গেলে সব সময় দু’টি শব্দ সর্বাগ্রে মনে আসে,‘অ-সাধারণ’ এবং ‘ব্যতিক্রমী’। ইংরেজিতে হয়তো ‘ uncommon’ এবং ‘unusual’ এই দু’টি শব্দ। আমার এই ধারণা বা বিশ্বাস, যা-ই বলা যাক, তার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য কিছু ঘটনার উল্লেখ করতে হয়, যেগুলোর কোন-কোনোটা আমার ছোটবেলায় মায়েরই নিজের মুখে অথবা মাসীদের মুখে শুনেছি। কয়েকটা পরবর্তীকালে আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখা বা শোনা।

একটা ঘটনা যেমন, আমার দাদু-দিদিমা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রের সন্ধান করছেন। কিন্তু তাঁদের পছন্দের কোন পাত্রই মেয়ের পছন্দ হয় না। যখন তাঁরা প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন এক পাত্রের খোঁজ মিললো। সরকারী চাকুরে, সেই সুদূর অতীতের যুগেও মাস মাইনে একশো-দশ টাকা, যা তখনকার বাজারদর অনুযায়ী মোটা বেতনই। আত্মীয়-স্বজনরা সবাই বলাবলি করলেন, ‘আহা, হীরের টুকরো ছেলে! এখন মেয়ের মর্জি হলেই নিশ্চিন্তি।’ পাত্রের কর্মস্থল নিয়ে অবশ্য দাদু-দিদিমা একটু দোটানার মধ্যে ছিলেন কারণ সেটা ধারেকাছে তো নয়ই, একেবারে বিদেশ, বর্মার রেঙ্গুন (আজকের ইয়াঙ্গন) শহর। মেয়ে কিন্তু ‘রেঙ্গুন’ শুনেই একবাক্যে রাজি - ‘রেঙ্গুন? সে তো জাহাজে চড়ে সমুদ্র পেরিয়ে যেতে হয়! আমি এই ছেলেকেই বিয়ে করবো।’ অতএব বিয়ে হয়ে গেলো প্রবাসী পাত্রের সঙ্গেই, এবং তার কয়েক দিনের মধ্যে বর্মা যাত্রা। সে’সময়ে রেঙ্গুনগামী জাহাজে দুই ধরনের টিকিট পাওয়া যেতো, কেবিনের টিকিট, যার দাম বেশি, তবে ‘প্রাইভেসী’ ও স্বাচ্ছন্দ্যও বেশি, আর ডেকের টিকিট, যার দাম বেশ কিছুটা কম, তবে খোলামেলা জায়গায়, অন্যান্য যাত্রীদের পাশাপাশি। আমার বাবা চেয়েছিলেন, স্বাভাবিকভাবেই, নবপরিণীতা পত্নীকে নিয়ে কেবিনেই ভ্রমণ করতে। কিন্তু মা তাতে রাজি হলেন না কোনমতেই। তাঁর যুক্তি: কেবিন থেকে কি সমুদ্র ভালো করে দেখা যায়? আর চোখের সামনে সমুদ্র না দেখতে পেলে জাহাজে চড়ে লাভই বা কী? অতএব বাবা বাধ্য হলেন সদ্যবিবাহিতের ‘রোমান্টিক’ বাসনাকে লাগাম পরিয়ে ডেকের টিকিট আশ্রয় করেই সমুদ্র পাড়ি দিতে। রেঙ্গুনে পৌঁছে মা-বাবা সংসার পেতে বসার বছর দেড়-দুই পর সেখানেই জন্মালাম আমি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠার মাসদুয়েক পরেই। জীবনের একেবারে গোড়ার দিকের কিছুকাল ঐ শহরে বাস করার আবছা স্মৃতিনির্ভর অতি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ইতোপূর্বে লিখেছি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলেছিলো প্রায় বছর ছয়েক, সবাই জানেন। যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হওয়ার পর পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ার সাথে সাথেই আমার বাবা এবং অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তারা ব্যবস্থা করলেন তাঁদের পরিবারদের ভারতে ফেরত পাঠানোর, নিজেরা যদিও তখনই ফিরতে পারলেন না। কাজেই মা আমাকে নিয়ে জাহাজে উঠলেন কলকাতা ফেরার জন্য। এবার অবশ্য কেবিনের যাত্রী হিসাবেই, কারণ সঙ্গে ছিলাম শিশু পুত্র আমি। কলকাতায় পৌঁছানোর পর মা আমাকে নিয়ে চলে এলেন অসমের গৌরীপুরে আমার মামাবাড়িতে। গৌরীপুরে শৈশব ও বাল্যকালের কিয়দংশ কাটানোর কিছু কিছু বিবরণও আমি আগে লিখেছি।

আরো কয়েক মাস বর্মায় কাটিয়ে বাবা দেশে ফেরার পর চাকরিসূত্রে তাঁকে যেতে হয়েছিলো প্রথমে সিমলায় যেখানে আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতার জন্ম তার পর এলাহাবাদে। এই দুই জায়গাতেই আমিও ছিলাম বাবা আর মায়ের সঙ্গে। এলাহাবাদে আমাদের বাসা ছিলো বাঙালি অধ্যুষিত পাড়াতেই, একজন বাঙালি ভদ্রলোকেরই বাড়ির তিনতলায়। আমার সমবয়সী আরো ছেলেমেয়েরা ছিলো পাড়ায়, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটতো আনন্দেই। এলাহাবাদে থাকার সময় মা নিয়মিতভাবে নানা উপলক্ষে, যেমন দীপাবলি, সরস্বতী পূজা, জন্মাষ্টমী, দোল বা হোলি ইত্যাদি, সেই সাথে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিবসও, আমার খেলার সাথীদের ডেকে ‘ভোগ’ খাওয়াতেন খিচুড়ি, বাঁধাকপির ঘন্ট, আলুর দম, চাটনি আর পায়েস। আমরা সবাই খুবই মজা করে ভোগ খেতাম, তবে আমার ধারণা এইসব উপলক্ষ আমাদের চেয়েও বেশি উপভোগ করতেন মা নিজেই।

আমাদের এলাহাবাদে বাসকালীন একটা বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেই নয়। ঘটনাটা এক দিকে যেমন মজারই ছিলো বলা যায়, অন্য দিকে আবার বেশ উদ্বেগজনকও ছিলো। আমার ভাইয়ের বয়স তখন ছয় বা সাত মাস হবে। শরীর হৃষ্টপুষ্ট নয়, গড়ন ছোটখাটোই। তখন শীতকাল, দুপুরের একটু আগে মা ওর সারা গায়ে বেশ করে সরষের তেল মাখিয়ে ঘরের বাইরে খোলা বারান্দায় একটা মাদুর পেতে রোদে শুইয়ে রাখতেন কিছুক্ষণ। এদিকে আমাদের পাড়ায়, সম্ভবত অন্যান্য পাড়াতেও, খুব হনুমানের উপদ্রব ছিলো। দিনের বেলা যখন তখন হনুমানের দল বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে লাফঝাঁপ করে বেড়াতো। খাবারের সন্ধানেই আসতো নিশ্চয়। এক দিন ভাইকে মাদুরে শুইয়ে দিয়ে মা ঘরের ভেতরে টুকিটাকি কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ মস্ত চেহারার একটা হনুমান লাফিয়ে বারান্দায় নামলো আর মা কিছু বুঝে উঠবার আগেই ছোঁ মেরে মাদুরের ওপর থেকে ভাইকে তুলে নিয়েই আবার এক লাফে পগার পার। মা তো আলুথালু অবস্থায় ছুটে বারান্দায় এসে মহা চেঁচামেচি জুড়ে দিলেন, হনুমানটা ততক্ষণে ভাইকে কোলে জাপটে ধরে আরেক লাফে বাড়ির ছাদে গিয়ে উঠেছে। মায়ের চেঁচামেচি শুনে বাড়ির অন্যান্য তলারও কয়েকজন ছুটে এসে দেখলো বাচ্চা কোলে হনুমান ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে বসে আছে। কেবল তাই নয়, নিজের মুখ থেকে কোন কিছুর ভুক্তাবশিষ্ট বার করে পরম আদরে কোলের বাচ্চার মুখে গুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সর্বনাশ! আমার ভাইকে এখন হনুমানের কবল থেকে উদ্ধার করা যাবে কীভাবে? লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে ভয় দেখানোর সাহস কারও হলো না, কারণ বাচ্চা কোলে নিয়েই পালাতে গিয়ে যদি সে তাকে নিচে ফেলে দেয়! সবারই সম্পূর্ণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। তবে দু-এক মিনিটের মধ্যেই একজনের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। সে ছুটে গিয়ে এক ছড়া কলা আর গোটা কয়েক বড় বড় আলু নিয়ে এসে হনুমানকে দেখিয়ে সেগুলো মেঝের ওপর রেখে অন্যদের বললো, ‘সবাই তাড়াতাড়ি কয়েক পা পিছিয়ে যাও। দেখি হনুমান এবার কী করে!‘ সবাই পিছিয়ে দিয়ে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে লাগলো। সত্যিই মিনিটখানেক পর হনুমান বাচ্চাকে কোল থেকে ছাদের ওপর নামিয়ে রেখে ঐসব ফলমূলের সামনে লাফিয়ে নামলো। সঙ্গে সঙ্গেই সবাই লাঠি উঁচিয়ে হৈহৈ করে তেড়ে গেলো হনুমানের দিকে আর সে-ও ঘাবড়ে গিয়ে এক লাফে বারান্দা ছেড়ে পালালো। দু-তিনজন ততক্ষণে ছাদে উঠে গেছে আমার ভাইকে উদ্ধার করতে। মায়ের খুবই দুশ্চিন্তা হয়েছিলো যে হনুমানের সংস্পর্শে এসে ছেলে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়বে। তবে শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়েছিলো বলে মনে পড়ে না।

বছর দুই-আড়াই বাদে বাবা আবার বদলি হলেন কলকাতায়। তবে তখনও তাঁকে কর্মসূত্রে নানা জায়গায় ঘুরতে আর প্রতি জায়গায় কিছু দিন থাকতে হতো আর মাকেও তাঁর সঙ্গে যেতে হতো। কিন্তু এবার আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘোরা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো কারণ ততদিনে আমার স্কুলে ভর্তি হওয়ার বয়স অতিক্রান্তপ্রায়। তাই সাব্যস্ত হলো যে আমি গৌরীপুরে মামাবাড়িতে থেকে স্কুলে পড়বো। তাতে আমার অবশ্য বিশেষ আপত্তি ছিলো না, কারণ মামাবাড়িতে থাকতে কার না ভালো লাগে? আর সেখানেও আমার বন্ধুর অভাব ছিলো না। গৌরীপুরে থাকা, স্কুলে পড়া, সমবয়সী বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করা আমি যথেষ্টই উপভোগ করেছি। আমার বাল্যকালের এই অংশটির মেয়াদ ছিলো গৌরীপুর হাই স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে অষ্টম শ্রেণী অবধি পড়া পর্যন্ত। এর পরেই শুরু হলো আমার বাল্যকাল ও কৈশোরের নতুন পরিচ্ছেদ।

শেষ পর্যন্ত বাবার পরিযায়ী কর্মজীবনের অবসান হলো। অবসরগ্রহণের সময় পর্যন্ত তিনি কলকাতাতেই থিতু হলেন। তাঁর ইচ্ছা ছিলো, এবার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েদের সবাইকে নিয়ে (হ্যাঁ, ততদিনে ছোট ভাই ছাড়া একটি ছোট বোনও হয়েছে আমার) সুখেশান্তিতে সংসার করবেন, আমাকে কলকাতার স্কুলে ভর্তি করবেন, সময় হলে আমার ভাই আর বোনকেও। কিন্তু বাদ সাধলেন মা। বাবার প্রস্তাব এক কথায় নাকচ করে দিয়ে তিনি বললেন, ‘আমি ঠিক করে ফেলেছি ছেলেমেয়েদের নিয়ে শান্তিনিকেতনে গিয়ে থাকবো, ওখানকার স্কুলেই ওদের পড়াবো। তুমি কলকাতায় থাকো তোমার চাকরি নিয়ে, প্রতি সপ্তাহের শেষে শান্তিনিকেতনে গিয়ে আমাদের সঙ্গে দেড়-দু’দিন কাটিয়ে আসবে। কত লোকই তো তেমনটা করে।’ মায়ের এমন সিদ্ধান্ত শুনে বাবা তো হতভম্ব, আমিও কিছুটা অবাক। হ্যাঁ, ততদিনে বড়দের কথাবার্তায় একটু-আধটু অবাক হওয়ার মতো বয়স আমার হয়েছে। কিন্তু বাবা জানতেন, জানতাম আমিও, যে মা কিছু একটা স্থির করে ফেলার পর তাঁর মত বদলানোর চেষ্টা করা নেহাতই প-শ্রম। তাছাড়া মায়ের কোনও ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে বাবাকে আমি কখনও দেখিনি, সব সময় মেনে নিতেই দেখেছি। সেটা নিছক পত্নীপ্রেমের কারণে, নাকি কথা কাটাকাটি করে অশান্তি সৃষ্টি এড়ানোর জন্য, তা অবশ্য ঠিক জানি না।

পরিচিত একজনের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনে বাসা ঠিক করে রেখেছিলেন মা আগে থেকেই। অর্থাৎ শান্তিনিকেতনে থাকার পরিকল্পনা বেশ আটঘাট বেঁধেই চূড়ান্ত করেছিলেন। ঐ বাসায় গুছিয়ে বসতে কয়েক দিন সময় লাগলো, বাবাও সঙ্গে ছিলেন বলা বাহুল্য গোছগাছে হাত লাগানোর জন্য। এ’পর্যন্ত সবই চলছিলো ঠিকঠাক, তবে এর পরেই সমস্যা দেখা দিলো, আর সেটা আমার স্কুলে ভর্তি হওয়া নিয়ে। ঐ সময়ে বিশ্বভারতীর শিক্ষা বিভাগের নিয়ম ছিলো, পাঠভবনে, অর্থাৎ বিদ্যালয়ে, নতুন ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে কেবল অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত, নবম বা দশম শ্রেণীতে নয়। এদিকে আমি তো গৌরীপুরের স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে এসেছিলাম। কিন্তু মা অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও আমাকে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করাতে সক্ষম হলেন না। অগত্যা উপায়ান্তর না দেখে বিশ্বভারতী পরিচালিত স্কুলের বদলে শান্তিনিকেতনের অদূরে বোলপুরে পশ্চিম বঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ্ অনুমোদিত বোলপুর বয়েজ্’ হাই স্কুলের নবম শ্রেণীতে আমার ভর্তির ব্যবস্থা হলো। আমার ছোট ভাই ও বোন অবশ্য যথাসময়ে পাঠভবনের শিশুবিভাগে ভর্তি হতে এবং স্নাতকোত্তর স্তর অবধি বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবন ও বিদ্যাভবনেই পড়াশোনা করতে পেরেছিলো। তবে বোলপুর স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং বোলপুর কলেজ থেকে ইন্টারমীডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, তারপর স্নাতকোত্তর পাঠের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্র হিসাবে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক এইটুকুই।

(চলবে. . . .)

ছবি: লেখক ও গুগল

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199