মন্দাকিনীর পাড় ধরে

প্রাণের বাংলা ডেস্ক

এডমিন ডেস্ক, ঢাকা থেকে

প্রকাশ: 28 Mar 2019

2655 বার পড়া হয়েছে

Shoes
এস এম এমদাদুল ইসলাম

রাস্কিন বন্ড ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ভারতীয় লেখক।বন্ডের জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে হিমালয়ের পাদদেশে পাহাড়ী ষ্টেশনে। তাঁর প্রথম উপন্যাস “দ্য রুম অন দ্য রুফ” তিনি লিখেছিলেন ১৭ বছরবয়সে এবং এটি প্রকাশিত হয়েছিলো যখন তার বয়স ২১ বছর। তিনি তার পরিবার নিয়ে ভারতের মুসৌরিতে থাকেন। Our Trees Still Grow in Dehra লেখার জন্য ১৯৯২ সালে তিনি সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরষ্কার পান। ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৪ সালে পদ্মভূষণ পুরষ্কারে ভূষিত হন। তিরিশটির বেশি উপন্যাস লিখেছেন তিনি। লিখেছেন প্রচুর নিবন্ধও। রাস্কিন বন্ডের উপন্যাস ‘অল রোডস লিড টু গঙ্গা’ একটি আলোচিত উপন্যাস। প্রাণের বাংলায় এই উপন্যাসের ধারাবাহিক অনুবাদ করেছেন  এস এম এমদাদুল ইসলাম। ‘হিমালয় ও গঙ্গা’ নামে উপন্যাসের ধারাবাহিক অনুবাদ এখন থেকে প্রকাশিত হবে প্রাণের বাংলায়।

প্রথমবারের মতো দু’টি নদীর সঙ্গমস্থল চাক্ষুষ করা আমার জীবনে একটা বিশেষ ঘটনা। মন্দাকিনীর পানি এসে মিশেছে অলকানন্দার পানির সঙ্গে রুদ্রপ্রয়াগে। একটির জন্ম কেদারনাথের উপরে হিমবাহে, অপরটি বদ্রিনাথ ছাড়িয়ে হিমালয়ের উচ্চতায়। দ’ুটোই পুণ্যনদী, নিচে নেমে গিয়ে একসময় পবিত্র গঙ্গার জন্ম দিয়েছে।
প্রথম দর্শনেই মন্দাকিনীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম আমি। নাকি উপত্যকাটির প্রেমে? আমি নিশ্চিত নই, সে যেটাই হোক, কিছু এসে যায় না। উপত্যকাই নদী।
অলকানন্দা উপত্যকাটি, বিশেষত উপরের দিকটাতে, গিরিসংকটের মতো এবং সেখানে খাড়া গিরিচূড়া বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে এমন ভাবে যেন এই ভেঙে পড়ছে কারো মাথায়; অপর দিকে মন্দাকিনী উপত্যকা প্রশস্ত, নিরাপদ, চওড়া সমভূমি ও নদীর পাড় বহুলাংশে সবুজ ঘাসে ছাওয়া। যেভাবেই হোক, মন্দাকিনী কাউকে ভয় ধরায় না, পক্ষান্তরে অলকানন্দার হঠাৎ ভূমিধ্বস বা তাতে বান ডাকার ভয়ে সবাইকে তটস্ত থাকতে হয়।
রুদ্রপ্রয়াগ উষ্ণ একটি এলাকা। শীতকালে জায়গাটি হয়তো মন্দ নয়, কিন্তু জুনের পর থেকে সেখানে বেজায় গরম। সম্ভবত জায়গাটি নাম করেছে তার এক সময়কার মানুষখেকো এক চিতার কীর্তির জন্য। সাত বছরে (১৯১৮-১৯২৫) তিনশ’টি শিকার ধরে জানোয়ারটি কুখ্যাত হয়েছিলো। অবশেষে একান্ন বছর বয়সি জিম করবেটের কাছে পরাস্ত হয় মানুষখেকোটি। তিনি তার ‘রুদ্রপ্রয়াগের মানুষখেকো চিতা’ নামের বইটিতে চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন সেই শিকার কাহিনির।
রুদ্রপ্রয়াগের দুই মাইল দক্ষিণে গুলাবরাই নামের গ্রামে চিতাটিকে গুলি করে মারা হয়েছিলো। জিম করবেটের উদ্দেশে একটা প্রকান্ড আম গাছের নিচে স্মারক নির্মাণ করেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের লোকজন। গাড়োয়াল ও ভারতবর্ষকে ভালোবেসেছিলেন এমন একজনের প্রতি সৌজন্য প্রদর্শনের এটা একটা উৎকৃষ্ট নমুনা।দুর্ভাগ্যবশত এখন সেখানে বেশ ক’টি মহিষশালা হওয়াতে পাথরের স্মৃতিফলকটার কাছে যেতে গেলে মহিষের গোবর মাড়িয়ে তবে যেতে হবে। আমগাছের সঙ্গে লটকানো একটা বোর্ড পথিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারলেও স্মৃতিফলকটি অপর পাশে থাকায় তা জনগোচরে নাও আসতে পারে।
চিতাটিকে অনেকবার বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে, গুহাবন্দি করা হয়েছে, অসংখ্যবার তার প্রতি বন্দুক ছোড়া হয়েছে-এসব সত্ত্বেও মানুষের প্রতি তার বিদ্বেষ কমেনি, সমানে সরাসরি আক্রমণ করে এসেছে সে। চিতাটির এই বৈশিষ্ট্য তাকে বিশেষত্ব দিয়েছে। দুজন ইংরেজ ক্রীড়াবিদ অলকানন্দার পুরনো ঝুলন্ত সেতুর দুই প্রান্ত কব্জা করে মানুষখেকোটিকে গুলি করেছে বেশ ক’বার, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
পাহাড়িদের মধ্যে চিতাটির অশরীরী অবিনাশী আত্মার মর্যাদা লাভ করতে বেশিদিন লাগেনি। এক সাধুকে সন্দেহ করা হচ্ছিলো যে সে রাতের বেলা ভোল পালটে চিতা হয়ে যায়। গাড়োয়ালের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার ফিলিপ মেসনের হস্তক্ষেপ না থাকলে এলাকার মানুষগুলো সেই সাধুকে ঝুলিয়ে দিচ্ছিলো প্রায়। মেসন সাধুকে ক’দিনের জন্য তাঁর জিম্মায় আটকে রেখেছিলেন চিতাটির পরবর্তী দর্শন পাওয়া পর্যন্ত, এতে করে প্রমাণ হয়েছে যে সাধু নির্দোষ। অনেক পরে যখন মেসন লেখক হয়েছেন, উপন্যাস লিখেছেন (ফিলিপ উডরাফ ছদ্মনামে), তখন তাঁর ‘দি ওয়াইল্ড সুইট উইচ’ বা জঙ্গলের সুন্দরী ডাইনি- এই গল্পে এক সুন্দরী যুবতীর রাতের বেলা মানুষখেকো চিতায় রূপান্তরিত হবার কাহিনি বর্ণনা করেছেন তিনি।
করবেট গুলাবরাই-এ যার আশ্রয়ে থেকেছেন, সে চিতাটির সঙ্গে সামনাসামনি মোলাকাতের পর তার হাত থেকে রেহাই পাওয়া অল্পক’জনার একজন ছিলো। লোকটা তার গলায় চিতার সঙ্গে অন্তরঙ্গতার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছিলো। করবেট শুধু অসাধারণ এক গল্পকারই ছিলেন না, তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে গভীর মমতায় বেঁধেছিলেন, ফলে আজো গাড়োয়াল ও কুমায়ুন-এর লোকজন তাঁকে প্রবাদপুরুষ মনে করে। এরা কিন্তু তাঁর কোনো বই পড়েনি।
জুনমাসের পোড়ানো গরমে কেউ থাকতে চায়না রুদ্রপ্রয়াগে। কিন্তু নদী ধরে কেউ যদি মন্দাকিনী উপত্যকা বেয়ে ধীরে ধীরে উঠতে থাকে উপরের দিকে তো হিমালয়ের তুষার ছুঁয়ে আসা শীতল হাওয়া তাকে এসে আলিঙ্গন করে যাবে, শুনিয়ে যাবে সমাগত বর্ষার বার্তা। অগস্ত্যমুনি নামের বর্ধিষ্ণু শহরটি নদীর বিস্তৃত দুই কূল জুড়ে আরো উপরে উঠে গেছে চন্দ্রপুরী পর্যন্ত। এখানে এসে আমরা না থেমে পারি না। চমৎকার কচি সবুজ ঘাসের গলিচা ধীরেসুস্থে নেমে গেছে নদীর পাড় পর্যন্ত, সেখানে একটু গড়াগড়ি না খেলে চলে না। একটা ছোটো বিশ্রামঘর তৈরি হচ্ছে সেখানটায়। তার চারপাশে কলাগাছের লম্বা ও চওড়া পত্রাঙ্গ বাতাসে দোল খায়, তার সঙ্গে পপলারের নতুন পাতা।
ধীরে বয়ে যাওয়া সমতলের নদী এটা নয়। বরং এ এক দূরন্তগতির চঞ্চল এক নদী, তার বরফগলা পানির বোঝা নিয়ে হোঁচট খাচ্ছে পাথরের স্তুপের ওপর, কখনো বেঁকে, কখনো ঘুর্ণি তৈরি করে পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে কী করে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছা যায় এরকম সংকল্প নিয়ে ধাবমান এক নদী। এলাকার গাড়োয়ালিদের অভিযোগ যে দ্রুত পলায়নপর এই নদীর চলার পথে তাদের ক্ষেত-খোলায় তার পানি সামান্যই চুঁইয়ে আসতে পারে। ফলে চাষ-বাসের জন্য তাদেরকে নদী নয়, বৃষ্টির উপরেই নির্ভর করতে হয়।
রাস্তা তখনো উঠে আসে মৃদু ছন্দে উঁচুর দিকে, নদীকে পাশে রেখে। গুপ্তকাশী-এর কাছে এসে একগুচ্ছ প্রকা- বৃক্ষরাজির ছায়ায় আশ্রিত একটি ছোট্ট প্রাচীন মন্দিরের প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো। এখানে থেমে আমরা গাছের ছায়ায় প্রবেশ করলাম।
মন্দিরটি পরিত্যাক্ত। শিবমন্দিরটির আঙিনায় স্রোতে ক্ষয়ে মসৃণ হয়ে যাওয়া লিঙ্গম ছড়িয়ে আছে পতিত ফুল-পত্রে ছাওয়া হয়ে। দেখে মনে হলো এখানে লোকজন তেমন আসেনা। এটা আশ্চর্য, কারণ জায়গাটা তীর্থপথে। পাশের জমিতে বলদে লাঙল জুড়ে চাষরত দুইটি ছেলে চাষ ফেলে এসে দেখা করলো আমাদের সঙ্গে। ওদের কাছ থেকে মন্দিরটি সম্পর্কে বেশি কিছু জানা গেল না। তবে এখানে দর্শনার্থী যে তেমন হয়না সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত করলো ওরা। বাস এখানে থামে না। এবার বোঝা গেল কারণ। বাস যে পর্যন্ত যায়, তীর্থযাত্রীরা সে পর্যন্তই যায়। আর তীর্থযাত্রীরা যেখানে যায় অন্য তীর্থযাত্রীরাও সেখানেই যায়, আগে-পরে হয় না।
গাছগুলো দেখে মনে হলো ম্যাগনোলিয়া। তবে এত বড়ো ম্যাগনোলিয়া গাছ এর আগে কখনো দেখিনি। হয়তো এগুলো অন্যকোনো গাছ হবে। হোক না তাই; সুন্দর সুবাসের এক রহস্যময় নামহীন গাছ হয়েই থাকুকনা ওরা।
রাতের গুপ্তকাশী এক হৈ-হুল্লোড়ের জায়গা। কেদারনাথের উদ্দেশে রওনা হয়ে আসা একটি বাস এসে থেমেছে, কাছের চায়ের দোকানিদের ব্যবসা হচ্ছে বেজায়। তারপর এলো উখিমঠের লোকাল বাস, নদী পেরিয়ে। অনেক যাত্রী ছুটে গেলো একটা বিশেষ চায়ের দোকানে যার সমুছার বেশ নাম রয়েছে। লোকাল বাসের আরেক নাম হলো- ভুক-হরতাল।
‘এমন নামকরণের অর্থ কী?’ সমুছার এক খদ্দেরকে জিজ্ঞেস করলাম।
‘বেশ, সেটা এক মজার কাহিনি। অনেকদিন থেকে আমরা স্থানীয় লোকজন ও আশেপাশের গাঁয়ের লোকদের জন্য বাস-সেবা প্রদানের জন্য আবেদন করে আসছিলাম কর্তৃপক্ষের কাছে। সব বাস আসে শ্রীনগর বা হৃষিকেশ থেকে তীর্থযাত্রী বোঝাই হয়ে। ওসব বাসে স্থানীয়দের কোনো ঠাঁই নেই। গোটা শহর বা শহরের প্রায় সবাই অনশন ধর্মঘটে না যাওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কানে আমাদের আর্জি পৌঁছায়নি। ওভাবে কাজ হলো শেষ পর্যন্ত, আর সেই মতে আমাদের সফল ধর্মঘটকে স্মরণ করে বাসের এই নামকরণ।’
‘ধর্মঘটিরা আমার ব্যাবসার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল প্রায়,’ সকৌতুকে বলে উঠলো চায়ের দোকানি। ‘পাক্কা দুই দিন আমার কোনো সমুছা বিক্রি হয়নি!’
গুপ্তকাশীতে জনগনের জন্য না আছে কোনো সিনেমা, না অন্যকোনো বিনোদনের ব্যবস্থা। ফলে শহর আগে আগে নিদ্রায় যায়, আবার জেগেও ওঠে আগে আগে।
সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে পাহাড়ের ধারগুলোতে সবুজ শ্যাওলা জমেছে। ভোর ছ’টায় সূর্যালোকে তা চক্চক্ করছে। বরফের টুপি পরে চওখাম্বা শৃঙ্গটি (৭১৪০ মিটার) জ্বলজ্বল করছে। এই উচ্চতায় কোনো ধুলা বা ধোঁয়া না থাকায় বাতাস নির্মল। আমাকে জানানো হলো, এই এলাকার আবহাওয়া সারা বছর ধরেই সহনীয় পর্যায়ে থাকে। গাছের ফুলগুলোর আকৃতি দেখে ও গন্ধ শুঁকে ছেলেরা বললো ওগুলো চম্পা (ম্যাগনোলিয়া)। নদীর অপর পারে অবস্থিত উখিমাথ এখনো ছায়ার মধ্যে রয়েছে। সকাল ন’টার আগে ওখানে সূর্যালোক পৌঁছাবেনা। শীতকালে নিশ্চয় সূর্য পেতে ওর দুপুর গড়িয়ে যায়। সব মিলে জায়গাটাকে বড়ো-ই মনে হয়, এবং ঐতিহ্য মেনে কেদারনাথের সাধুরা দূরের এই বরফঢাকা তীর্থস্থানটিতে আসেন শীত যাপনে।
অন্যান্য অনেক বর্ধিষ্ণু হিল-টাউনে যেটা হয়েছে, ব্যারাক ধরনের স্থাপত্যে নির্মিত ইমারতে শহর তার সৌন্দর্য হারিয়েছে, এমনটা গুপ্তকাশীতে হয়নি। এখানকার পুরনো বাড়িগুলো দো’তলা, পাথরে তৈরি, ছাদ ছাই রঙা স্লেট দিয়ে বানানো। এসব বাড়ি পাহাড়ি পরিবেশের সঙ্গে সুন্দর মিশে থাকে। নুড়ি গাঁথা পথগুলো এঁকেবেঁকে পুরনো বাজারের ভিতর দিয়ে চলে গিয়েছে।
এই সব পথের একটি শহরের পুরনো অংশের উপর দিয়ে উঠে গিয়েছে বিখ্যাত গুপ্তকাশী মন্দির পর্যন্ত। বেনারসের মতো এখানেও শিবকে বিশ্বনাথ বিবেচনায় পুজো হয়। দেবতাদের ভক্তি সরোবরে পানি ঢালে মাটির নিচ থেকে প্রবাহিত হওয়া দুটি স্রোতোধারা পবিত্র গঙ্গা ও ভাগিরথীর ভূমিকা পালন করে। এই মন্দিরটি থেকে শহরটির নামকরণ হয়েছে- গুপ্তকাশী বা ‘অদৃশ্য বেনারস’, যেভাবে ভাগরথীর পারে হয়েছে উত্তরকাশী বা ‘উপরের বেনারস’।
গুপ্তকাশী ও তার আশেপাশে এত লিঙ্গম রয়েছে যে বলা হয়, ‘যিতনে কঙ্কর উতনে শঙ্কর’- ‘যত পাথর তত শিব’। এই জায়গার পবিত্রতা বোঝাতে কথাটি প্রবাদ বাক্যে পরিণত হয়েছে।
গুপ্তকাশী থেকে তীর্থযাত্রীরা যাবে উত্তর দিকে কেদারনাথ অভিমুখে, এবং শেষের একদিনের পথ তাদেরকে যেতে হবে পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার পিঠে। ১১,৭৫৩ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দিরটির চতুর্দিকে বরফ-ঢাকা সব পাহাড়চূড়া। অ্যাটকিনসন বলছেন যে লিঙ্গের প্রতিকটি সম্ভবত ভগবান শিবের প্রকৃত আবাসের চারপাশের ছুঁচোলো শৃঙ্গের আকৃতি থেকেই এসেছে।
মন্দিরটি সদাশিবের উদ্দেশে নিবেদিত। একটা মরদা মহিষবেশে সদাশিব পা-বদের কাছ থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে কোনঠাসা হয়ে পড়ে শরীরের পেছনের অংশ ফেলে রেখে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
দেবতার শরীরের অন্যান্য অংশগুলো এভাবে আছে,বাহু দুটো ১৩,০০০ ফুট উচ্চতায় তুংনাথ-এ, মুখমন্ডল রুদ্রনাথ-এ (১২,০০০ ফুট), উদর গুপ্তকাশীর আঠারো মাইল উত্তর-পূর্ব দিকে মদমহেশ্বর; আর লোম ও মাথা যোশিমঠ-এর কাছে কল্পেশ্বর। এই পাঁচটি পবিত্র তীর্থস্থান মিলে হয়েছে পঞ্চকেদার।
চন্দ্রশিলা শ্রেণিতে অবস্থিত তুংনাথ দর্শনেচ্ছায় মন্দাকিনী ছেড়ে আসি। কিন্তু এখানে আমি ফিরে আসবো আবার। এই নদী আমার হৃদয়-অন্তর হরণ করেছে। (চলবে)

ছবি: গুগল

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199