
ইতিহাস বলে সম্রাট আলেকজান্ডার খেতে পছন্দ করতেন। খাবারের ব্যাপারে দূর্বল ছিলেন হিটলারও। কিন্তু ইতিহাসের নায়ক অথবা খল নায়কের খাদ্যপ্রেম আমাদের আড্ডার বিষয় নয়। আমাদের পাতে আজ ভোজনরসিক বাঙালি। পোলাও, ভাত, মাছ, মাংস, ভর্তা, শাক অথবা চচ্চড়ি হয়ে অন্তিমে বড় সাইজের রসগোল্লা-মেন্যু যাই হোক না কেনো সবকিছু থেকেই রসাস্বাদনে বাঙালির রয়েছে বিশেষ নৈপুন্য। নৈপুন্য কথাটার সঙ্গে কৌশলের একটা সম্পর্ক আছে। বলা যেতে পারে খাবারের প্রতি বাঙালির আছে বিশেষ দূর্বলতা। সোজা কথায় খেতে ভালোবাসে এই জাতি।
ভোজন রসিক বাঙালির খাবার নিয়ে নানা পাগলামী আর রসিকতা নিয়েই এবার প্রাণের বাংলার প্রচ্ছদ আয়োজন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে বসতো বিদ্বজ্জনসমাগম সভা কিংবা খামখেয়ালি সভা। এই সব সভায় মুখরোচক খাবার পরিবেশিত হতো। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর হাতে তৈরি দইয়ের মালপো, মানকচুর জিলাপির মতো অদ্ভূত খাবারের আত্মপ্রকাশও নাকি এ সব আসরেই।
ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগরের মতো মানুষও নাকি ছিলেন অত্যন্ত ভোজন রসিক। খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন। তিনি কয়েকজন অন্তরঙ্গ বন্ধুকে নিয়ে ‘ভোজন সভা’ নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন। সংস্থার প্রায় জনাদশেক সদস্য ছিলো। এই সংস্থার সদস্যরা হঠাৎ দল বেঁধে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে গিয়ে খেতে চাইতেন। সংস্থার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল ঘনিষ্ঠ মহলে। তাই প্রত্যেকেই সবসময় ভয়ে থাকতেন যে, এই বুঝি ভোজনসভার সভ্যদের উদয় হলো!
প্রখ্যাত বাঙালি লেখক শিবরাম চক্রবর্তী তো বলেই গেছেন, তাঁর জীবনের লক্ষ্য দুটো-‘‘খাই আর শুই’’। এক সময় শিবরাম পুরোদমে স্বদেশী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। রাজবন্দী হিসেবে জেলেও গিয়েছেন। তখন তাঁর এতই রোগা পটকা চেহারা ছিলো যে পুলিশ কিছুতেই তাঁকে বিপ্লবী হিসেবে আমলে নিত না। যা-ই হোক, একদিন ধরা পড়লেন, বলা ভাল নিজেই ধরা দিলেন। জেলে গিয়ে দেখা হয়ে গেলো কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনিও বন্দী তখন। তাঁকে দেখে নজরুল তো দারুণ খুশি। গানে, গল্পে কবিতায় হৈ হৈ করে সময় কাটতো তাঁদের। জেলখানায় রাজবন্দীদের খাবার নিজে হাতে রান্না করে খাওয়াতেন নজরুল। তিনি চমৎকার মোঘলাই খানা বানাতে জানতেন। বানাতেন বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, নানা রকম কাবাব, কাটলেট, মাংসের চপের মতো নানান জিভে-জল-আনা পদ। শিবরাম লিখেছেন, “মনে পড়লে এখনও জিভে জল সরে। নিজেকে সজিভ বোধ করি। আর জেলখানার সেই খানা! আহা! আমি তো বহরুমপুর জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত টিঙটিঙে রোগা ছিলাম। তারপরে দুইবেলা কাজির খানা খেয়ে এমন মোগলাই চেহারা নিয়ে বেরলাম যে আর রোগা হলাম না। জেলখানায় আর জেলের খানায় গড়া এই চেহারা এতটুকু টসকায়নি।”
বাঙালি কী খায় না? ভুরিভোজ কথাটার সঙ্গে বাঙালি যেন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। বাঙালি তো হাপুসহুপুস করে খেতে ভালোবাসে। নানান ব্যঞ্জনে মশলাদার খাবার বাঙালির খুব প্রিয়। প্রাচীন গ্রন্থ থেকে জানা যায়, এককালে স্বচ্ছল বাঙালির ৬৪ ব্যঞ্জন ছিল নিত্যখাদ্য। এটা অবশ্য এখন প্রবাদে পরিণত হয়েছে।পুরো বছর ধরেই বাঙালির রান্নাঘর যেনো উৎসবের মঞ্চ। বৃষ্টি পড়লো তো শুরু হলো ইলিশ আর খিচুড়ির জয়জয়কার। শীতে নামলে সব্জীর আয়োজন। আয়োজন হলো পিঠা, পায়েসের। খাবার নিয়ে রীতিমতো উৎসবের হিড়িক চারদিকে।
আড্ডাবাজ বলেও বাঙালির খ্যাতি আছে। আর সে আড্ডা কিন্তু কখনোই খালি মুখে হয় না। চানাচুর থেকে গরম সিঙ্গাড়া অথবা চিড়াভাজা থেকে পাপড় সবই বাঙালির কাছে মুখোরোচক। আড্ডার মধ্যে দিয়েও বাঙালীর ভোজনরসিক চরিত্রের বিকাশ বোঝা যায়। অড্ডায় রাজনীতি থেকে ক্রিকেট সমস্ত বিষয় নিয়ে তুলকালাম চললেও উদরপূর্তি চাই সেখানেও। নানা ধরণের ভাজাপোড়া খাবার বোধ হয় এই আড্ডাবাজ বাঙালির কাছেই টিকে আছে।
‘নৈষধী চরিত’-এর রচয়িতা শ্রী হর্ষ ছিলেন দ্বাদশ শতকের কবি। (অনুবাদক ড. করুণাসিন্ধু দাস, কলকাতা, ১৯৮২)। তাঁর সেই কাব্যকথায় খাদ্যের বৈচিত্র্য এবং রন্ধনশিল্পীদের নৈপুণ্যের অনেক তথ্য রয়েছে। সেসব তথ্যের মধ্যে শ্রী হর্ষের দেয়া ভাতের বর্ণনাটিও উপভোগ করার মতো। এখানে তা তুলে দেয়ার লোভ সামলানো গেলো না—লোকেরা সাগ্রহে ভাত খেলেন, তাতে ধোঁয়া উঠছিল, ভাত মোটেই ভাঙ্গা নয়, গোটা, পরস্পর আলাদা, কোমল ভাব হারায়নি, সুস্বাদু, সাদা, সরু, সুগন্ধযুক্ত। তার লেখায় বাঙালীর আরেকটি প্রিয় খাবার দইকে বলা হয়েছে, ‘অমৃতের হ্রদ থেকে তুলে পাঁকের মতো...।’
ভাত কিন্তু বাঙালির ভোজের তালিকায় সবসময় এক নম্বরেই থাকে। সৈয়দ মুজতবা আলী বহু দেশ ঘুরেছিলেন, বহু ধরনের রান্না খেয়েছেন। আরব দেশ ভ্রমণের সময় মুরগি মোসাল্লম, শিক কাবাব, শামি কাবাবের স্বাদ পেয়েছেন। জাহাজে ঘুরে বেড়াবার সময় ইউরোপীয় খাবারও খেয়েছেন। কিন্তু ওই যে বাঙালী বলে কথা। সেই ভ্রমণ কালে আলী সাহেবের প্রাণ কাঁদছিল—চারটি আতপ চাল, উচ্ছে ভাজা, সোনামুগের ডাল, পটল ভাজা আর মাছের ঝোলের জন্য।ভাবা যায়!চিরকালের ভেতো বাঙালি বোধ হয় একেই বলে।
সেই ভাত কিন্তু বাঙালির পেছন ছাড়ে না কখনোই। প্রাচীন কালের ইতিহাস বইয়ের পাতা উল্টে গেলে জানা যায়, তখন ভাত খাওয়া হতো শাক এবং অন্যান্য ব্যঞ্জন দিয়ে। দরিদ্র ও পল্লী অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাদ্যই ছিল শাক-ভাত। নালিতা বা পাটশাকের উল্লেখ আছে ‘প্রাকৃত পৈঙ্গল’-এ। মইলি বা মৌরলা মাছ ছিলো বাঙালির প্রিয় খাদ্য। তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে খাবারের প্রতি এই দূর্বলতা এই জাতির তখন থেকেই।
বাঙালির আনুষ্ঠানিক ভোজে নাকি খাদ্য অপচয়ের চূড়ান্ত হতো—এমন কথা লিখে গিয়েছেন চীনা পরিব্রাজক হিউ এন সাং। তার দেখা ব্যঞ্জনের তালিকায় রয়েছে দই আর রাই সরষে দিয়ে রান্না করা পদ। যা খেয়ে অতিথিদের মাথা চাপড়াতে হতো তীব্র ঝালের আক্রমণে। প্রাচীন বাঙালির প্রিয় খাদ্য ছিল হরিণের মাংসও। সম্ভবত এজন্যই চর্যাপদে লেখা হয়েছে—‘‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’’। হরিণের মাংস সুস্বাদু বলে সবাই বনে এসে আগে হরিণ শিকার করতো।
বাঙালির খাবারে তেল আর মশলার খ্যাতি বলি অথবা কুখ্
যাতিই বলি সেটা বেশ বেশী মাত্রায়ই আছে। এই তেল-মশলার ব্যাপক ব্যবহারই বাঙালি রান্নার স্বাদ এবং গন্ধকে জগতে বিখ্যাত করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এক সময়ে বলা হতো সরষের তেল ছাড়া বাঙালি অচল। তেলের ব্যবহারের সূত্রেই আবিষ্কৃত হয়েছে যে সিন্ধুসভ্যতায় বাঙালি ছিল। তাদের খাদ্যসূত্র হচ্ছে, সরষের তেল এবং বিশেষ প্রজাতির চালের ব্যবহার। অর্থাৎ বাঙালি সরষে চাষ, তেল নিষ্কাশন ও তা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে ৪৫০০ বছর আগে থেকে। এই সরষের তেল ও মশলা সমৃদ্ধ রান্না কিন্তু ভারত এবং বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও নেই।
খাঁটি বাঙালি খাবারের মেন্যুতে তেতো, বাটা, ছেঁচকি, ভাজা, পোড়া, পুর, চচ্চড়ি, ঘন্ট, সিদ্ধ, ডাল, ঝাল, ঝোল, টক, রসা, কণ্ঠা, পাতুরি, মালাইকারী, ঝাটী, পৈঠা, ধোকা, শড়শড়ি, কালিয়া, দোলমা, বাগার, সমসা ইত্যাদি রকমারি পদ্ধতিতে রান্না করা পদ থাকে। আর তাতেই বোধ হয় খাবারের ব্যাপারে বাঙালির জিব এতোটা ধারালো বলে খ্যাতি অর্জন করেছে। বছর চল্লিশ আগেও এমন রান্নার সুঘ্রাণে গোটা পাড়া ম ম করতো। এক বাড়িতে ভালো রান্না হলে বাটি চলে যেতো অন্য বাড়িতে। বাঙালি যেমন খেতে পছন্দ করে তেমনি আপ্যায়নেও তাদের জুড়ি মেলা ভার।
বাংলা সাহিত্যেও ভোজন রসিক বাঙালীর দারুন সব ছবি ছড়িয়ে আছে। মনে করার চেষ্টা করি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসাধারণ উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’র কথা্। অপু তার বাবার সঙ্গে অবস্থাসম্পন্ন এক বাড়িতে মোহনভোগ বা হালুয়া জাতীয় খাবার খেয়েছিলো। সেই মোহনভোগে ঘিয়ের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে অপুর আঙুলে মাখামাখি হয়ে যায়। তার মনে পড়ে, মায়ের কাছে মোহন ভোগ খেতে চাইলে ‘শুধু সুজির জলে সিদ্ধ করিয়া একটু গুড় মিশাইয়া পুলটিসের মতো এক দ্রব্য তৈয়ার করিয়ে ছেলেকে আদর করিয়া খাইতে দেয়।’ আজকের মোহন ভোগ আর মায়ের তৈরি মোহনভোগের সঙ্গে অপু তফাৎ করতে পেরেও সে দরিদ্র মায়ের প্রতি করুণা ও সহানুভূতিতে পূর্ণ হয়ে গেল। ‘খাইতে বসিয়া বারবার তাহার মনে হইতেছিল অর্থাৎ তাহার দিদি এরকম খাইতে পায় নাই কখনো’। সুস্বাদু খাবার অপুর মনে বেদনারও উদ্রেক করেছিলো।
বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন, ‘‘নদের ফটিক চাঁদ, এখন আর মালপো ভোগে তেমন আস্থা নেই তার, ফাউল কারি ঠিকমতো তরিবত্ হলো কি না এ নিয়ে তার বেজায় দুশ্চিন্তা’’। ফাউল কারি আসলে মুরগির তরকারি। তখন হিন্দু সমাজে মুরগি খাওয়ার চল ছিলো না। বঙ্কিমচন্দ্রের লেখায় তৎকালীন সমাজে বাঙালীর আহারের রুচি পরিবর্তনের আঁচ পাওয়া যায়।
জীবনানন্দ দাশ তাঁর এক লেখায় খাবারের বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন নিমি তাকে খেতে দিচ্ছে—‘‘নিমি পিঁড়ি পাতিয়া মল্লিকা ফুলের মতো পরিষ্কার অন্ন, কাঁচা কলাইয়ের ডাল, জঙ্গুলে ডুমুরের ডালনা, পুকুরের রুই মাছের ঝোল এবং দুগ্ধ আনিয়া জীবানন্দকে খাইতে দিল’’। এর পরেই নাম আসে তারাশঙ্কর, বনফুল ও বিভূতিভূষণের।তাঁদের লেখায় উঠে এসেছে বাঙালির খাদ্যরসিক মূর্তি।
তবে বাঙালির ভোজনরসিক ছবি তুলে আনতে রবীন্দ্রনাথও কম যান না। ‘নৌকাডুবি’ উপন্যাসের কমলা-রমেশের স্টিমার যাত্রার বিচিত্র সরসতা পাঠকের জন্য ভুলবার নয়। কমলার রন্ধন নৈপুণ্য এবং রমেশের সংগ্রহ ক্ষমতা মিলে সে এক রসঘন পরিস্থিতি। সজনে ডাটা, লাউডগা, বেগুন কুমড়োফুল, রুইমাছ—সব মিলিয়ে সে এক মহা আয়োজন।
বাংলাদেশের প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ খেতে ভালোবাসতেন। অতিথি আপ্যায়নেও তার ছিলো সুনাম। রান্না ও খাবারের প্রতি তাঁর বিশাল আগ্রহের কথা শোনা যায়। প্রচুর রান্নার বই পাঠে তাঁর ছিলো অখন্ড মনযোগ। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, অজিতকুমার চক্রবর্তী, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, অতুলপ্রসাদ সেন-সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে সুকুমার রায় তৈরি করেন বিখ্যাত ‘মণ্ডা ক্লাব’। এদের অনেকেই খাদ্য রসিক ছিলেন এবং তাঁরা খেতেনও প্রচুর। এমনি খাদ্য অনুরাগী লেখকদের তালিকায় নাম রয়েছে আরেক প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যাযের।
সৈয়দ মুজতবা আলী বোধ করি খাবারের ব্যাপারে আদর্শ বাঙালির ছাড়পত্রটি অনায়াসে পেতে পারেন। তাঁর মতে, খাদ্যের হাজারো প্রকার থাকলেও খাদক মূলত দুই প্রকারের। ভোজনপটু ও ভোজনবিলাসী। ভোজনবিলাসীরা হরেক রকমের খাবার সামনে থাকলেও বেছে বেছে খায়। আর ভোজনপটু যারা তাদের কোনো বাছ-বিচার নেই। আহার উপযোগী হাতের কাছে যা পায় তাই টপাটপ হজম করে। এরা খাবার সামনে থাকলে ভরা পেটেও খাওয়া শুরু করে।তবে বাঙালির চরিত্রে এই দুই ধরণের ভোজনরসিকতার প্রধান্যই রয়েছে।
আবার ফিরে যাই শিবরাম চক্রবর্তীর লেখায়। আগেই উল্লেখ্ করেছি রাজনীতি করতেন শিবরাম। সেজন্যই একবার তৎকালীন এক নামকরা গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা পঞ্চানন ঘোষালের ওপর দায়িত্ব পড়লো শিবরাম চক্রবর্তীকে অনুসরণ করার। আর তাতেই মহা বিপদে পড়লেন সেই অফিসার ভদ্রলোক। কারণ রোজই শিবরাম দু’পা এগিয়ে কোনো একটা খাবার দোকানে ঢুকে মিষ্টি অথবা চপ-কাটলেট খেতে শুরু করতেন। বাধ্য হয়ে সেই অফিসারকেও সেই দোকানে ঢুকতে হতো এবং খাবারের অর্ডার দিতে হতো। সেই খেয়ে খেয়ে নিজেই মোটা হয়ে গিয়েছিলেন পঞ্চানন ঘোষাল। এই কথা জেনে শিবরাম মন্তব্য করেছিলেন, “আরে আমিও তো খেতাম কিন্তু সেই নাতিদীর্ঘই থেকে গেলাম যে, আপনার মতো হাতিদীর্ঘ হতে পারলাম না কেন?”
এই ভোজনরসিক বাঙালি অতিভোজন নিয়েও বিপদে পড়ে। খেয়ে খেয়ে হৃদযেন্ত্রের অসুখ বাড়ে, বাড়ে কোলস্টেরল, বিকল হয় লিভার। শেষে হাতপাতালে শুয়ে, পাতালে যাবার কথা ভেবে ছটফট করা। তবে মুদ্রার উল্টোপিঠ বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। আর এখানে উল্টোপিঠ হচ্ছে কম খাওয়া। বিষয়টা এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানে মানসিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। একে ‘অ্যানোরক্সিয়া নার্ভোসা’ বলে। এটি আসলে খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা বা ইটিং ডিসঅর্ডার। এতে রোগীর মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়। তাঁরা খাবার খেয়ে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় পান। আর সেই ভয়ে খুব কম খেতে থাকেন, কখনও কখনও একেবারেই খান না। এমন কি পরবর্তীকালে খাওয়া প্রায় বন্ধই করে দেন। ব্যাপারটা তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে দাঁড়ায়।
ছবিঃ গুগল



রাগের আগুন
4 Dec 2025
330 বার পড়া হয়েছে

ইতিহাস লেখকের দায়
20 Nov 2025
585 বার পড়া হয়েছে

বাঙালির ছিদ্রান্বেষণ
13 Nov 2025
715 বার পড়া হয়েছে

রোদে লেপ বলে, শীত…
6 Nov 2025
1885 বার পড়া হয়েছে

গোপন গল্প...
30 Oct 2025
1700 বার পড়া হয়েছে

কিছু মায়া রয়ে গেল…
16 Oct 2025
1345 বার পড়া হয়েছে

শীত চায়…
2 Oct 2025
895 বার পড়া হয়েছে

লিখছি তোমাকে শরৎকাল...
26 Sept 2025
2400 বার পড়া হয়েছে

আমি ঝড়ের কাছে…
18 Sept 2025
3505 বার পড়া হয়েছে

ইঁদুর, ইঁদুর…
30 Jan 2025
7140 বার পড়া হয়েছে

হাঁটতে হাঁটতে…
23 Jan 2025
5890 বার পড়া হয়েছে

এই গিটারটা বন্দুক হয়ে যেতে পারে...
16 Jan 2025
6490 বার পড়া হয়েছে

পুরুষ নেই...
9 Jan 2025
5145 বার পড়া হয়েছে

শীতকাল ভালোবেসে…
2 Jan 2025
4795 বার পড়া হয়েছে

এত লোক জীবনের বলী…
19 Dec 2024
4525 বার পড়া হয়েছে

চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস…
12 Dec 2024
2750 বার পড়া হয়েছে

জয়া’র জয়
5 Dec 2024
3775 বার পড়া হয়েছে

দু‘শ সেকেন্ডের সেই টেলিফোন কল
28 Nov 2024
3795 বার পড়া হয়েছে

কাফকার আঁকাজোঁকা
21 Nov 2024
2995 বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচার স্বৈরাচার…
14 Nov 2024
7780 বার পড়া হয়েছে

ডার্ক ট্যুরিজম
7 Nov 2024
7930 বার পড়া হয়েছে

ফেরা…
31 Oct 2024
3505 বার পড়া হয়েছে

অনুজ্জ্বল বিষের পাত্র
24 Oct 2024
3200 বার পড়া হয়েছে

ঋত্বিকের সুচিত্রা সেন
17 Oct 2024
2390 বার পড়া হয়েছে

হেমন্তের অরণ্যে পোস্টম্যান
10 Oct 2024
3335 বার পড়া হয়েছে

গোয়েন্দা কাহিনি এখন…
1 Oct 2024
2730 বার পড়া হয়েছে

ঝড়ের কেন্দ্র
19 Sept 2024
2665 বার পড়া হয়েছে

তখন হাসপাতালে…
11 Jul 2024
4800 বার পড়া হয়েছে

ছাতার মাথা ...
4 Jul 2024
5095 বার পড়া হয়েছে

আমি, তুমি ও ম্যাকবেথ…
27 Jun 2024
3995 বার পড়া হয়েছে

কফির কাপে ঝড়…
13 Jun 2024
3115 বার পড়া হয়েছে

চশমার কাচে সমুদ্র
6 Jun 2024
2740 বার পড়া হয়েছে

মেরিলিন মনরো আর রুবি রায়
30 May 2024
3610 বার পড়া হয়েছে

খুন জখমের গল্পে নারীরা...
9 May 2024
3195 বার পড়া হয়েছে

পথের মানুষ…
3 May 2024
3185 বার পড়া হয়েছে

দহন
25 Apr 2024
3935 বার পড়া হয়েছে

আয়না অনেক গল্প জানে…
10 Apr 2024
5465 বার পড়া হয়েছে

গোলাপের নিচে...
28 Mar 2024
4540 বার পড়া হয়েছে

মুখে তার...
21 Mar 2024
2580 বার পড়া হয়েছে

লেনিনের যতো ভালোবাসার চিঠি…
14 Mar 2024
3535 বার পড়া হয়েছে

আমাদের ছুটি ছুটি ছুটি...
29 Feb 2024
5875 বার পড়া হয়েছে

যদি নির্বাসন দাও
22 Feb 2024
3430 বার পড়া হয়েছে

শীত চলে গেছে পরশু...
8 Feb 2024
3480 বার পড়া হয়েছে

মনে পড়লো তোমাকে বইমেলা...
1 Feb 2024
4015 বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব নির্জন বারান্দায়...
25 Jan 2024
3170 বার পড়া হয়েছে

ঋত্ত্বিক ঘটকের বউ…
11 Jan 2024
3705 বার পড়া হয়েছে

সুচিত্রা সেনের সানগ্লাস
4 Jan 2024
5780 বার পড়া হয়েছে

স্মৃতি পিপীলিকা…
28 Dec 2023
4630 বার পড়া হয়েছে

হাতে বোনা সোয়েটার আর…
21 Dec 2023
6085 বার পড়া হয়েছে

দেয়ালে উঠছে, দেয়াল ভাঙছে
13 Dec 2023
5385 বার পড়া হয়েছে

শীত এক মায়া
7 Dec 2023
5805 বার পড়া হয়েছে

উঁকি...
30 Nov 2023
4035 বার পড়া হয়েছে

দেশলাই জ্বালতেই…
23 Nov 2023
10115 বার পড়া হয়েছে

তোমার ও আঁখির তারায়...
9 Nov 2023
5460 বার পড়া হয়েছে

পাগল ...
26 Oct 2023
5350 বার পড়া হয়েছে

শীতের খোঁজে...
19 Oct 2023
5675 বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টিতে থাকলো নির্জন সাইকেল...
5 Oct 2023
6775 বার পড়া হয়েছে

নারী ভয়ংকর
28 Sept 2023
10195 বার পড়া হয়েছে

তবুও সন্ধ্যা আসে…
14 Sept 2023
7150 বার পড়া হয়েছে

হিটলারের নেশা
7 Sept 2023
9925 বার পড়া হয়েছে

ক্লাপারবোর্ড
31 Aug 2023
13195 বার পড়া হয়েছে

মোনালিসার গোয়েন্দারা
23 Aug 2023
3375 বার পড়া হয়েছে
.png )
খেলা যখন…
15 Jun 2023
3205 বার পড়া হয়েছে

ইতি, চায়ের দোকান...
1 Jun 2023
7635 বার পড়া হয়েছে
(1).png )
লেখকদের ঘরবাড়ি
10 May 2023
3260 বার পড়া হয়েছে

মেয়েরা প্রেমের চিঠি লেখে না
20 Apr 2023
7245 বার পড়া হয়েছে

বৈশাখে আঞ্চলিক খাবার..
13 Apr 2023
2675 বার পড়া হয়েছে

স্ট্রিট ফাইটিং ইয়ার্স...
6 Mar 2023
2830 বার পড়া হয়েছে

হাওয়ায় লেগেছে শরতের গন্ধ।
4 Jan 2023
3140 বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক ফুটবল
4 Jan 2023
3620 বার পড়া হয়েছে

হাসপাতাল থেকে…
23 Jun 2022
2425 বার পড়া হয়েছে

একলা মাদুর…
16 Jun 2022
2015 বার পড়া হয়েছে

পালাতে হয়েছিলো মোনালিসাকে
7 Jan 2021
3300 বার পড়া হয়েছে

হেমন্তের অরণ্যে পোস্টম্যান
29 Oct 2020
3380 বার পড়া হয়েছে

গডফাদার ৫২ বছরে
22 Oct 2020
2655 বার পড়া হয়েছে

দানব অথবা দানবীয়...
8 Oct 2020
2490 বার পড়া হয়েছে

দুই শীতের মাঝখানে
1 Oct 2020
2690 বার পড়া হয়েছে

আরেক বিভূতিভূষণ...
17 Sept 2020
2005 বার পড়া হয়েছে

আয়নায় একা উত্তম...
3 Sept 2020
2185 বার পড়া হয়েছে

দ্বিতীয় পথের পাঁচালী
27 Aug 2020
2800 বার পড়া হয়েছে

ভালো না-বাসার কাল
13 Aug 2020
1930 বার পড়া হয়েছে

যতদূর থাকো ফের দেখা হবে
5 Aug 2020
2125 বার পড়া হয়েছে

বিপজ্জনক মানিক
2 Jul 2020
2190 বার পড়া হয়েছে

নিখোঁজ হয়েছিলেন আগাথা ক্রিস্টিও
23 May 2020
1915 বার পড়া হয়েছে

আমাকে মনে পড়ে?
14 Apr 2020
1820 বার পড়া হয়েছে

আমি ইতালী থেকে লিখছি...
29 Mar 2020
2010 বার পড়া হয়েছে

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন...
12 Mar 2020
2665 বার পড়া হয়েছে

মুখোমুখি বসিবার...
27 Feb 2020
2075 বার পড়া হয়েছে

শীতে ভালোবাসার পদ্ধতি
6 Feb 2020
4275 বার পড়া হয়েছে

হিব্রু ভাষায় কাফকার চিঠি
30 Jan 2020
2070 বার পড়া হয়েছে

ইভা ব্রাউনের অন্তরাল
23 Jan 2020
2455 বার পড়া হয়েছে

শীতের স্মৃতি
9 Jan 2020
2215 বার পড়া হয়েছে

কেক কুকিজের গন্ধে ...
24 Dec 2019
2400 বার পড়া হয়েছে

জুতার ভেতরে...
19 Dec 2019
1910 বার পড়া হয়েছে

খুন হয়েছিলেন আলবেয়ার কামু
12 Dec 2019
2865 বার পড়া হয়েছে

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরিবাকরি
5 Dec 2019
1960 বার পড়া হয়েছে

পৃথিবী বিখ্যাত পোস্টার যত
28 Nov 2019
2975 বার পড়া হয়েছে

পেঁয়াজের পিঁয়াজী
21 Nov 2019
2285 বার পড়া হয়েছে

সিনেমায় দু’চাকার ঝড়
14 Nov 2019
1650 বার পড়া হয়েছে

শেষদৃশ্যে জুলিয়াস ফুচিক
7 Nov 2019
2775 বার পড়া হয়েছে

অভিমানে কি দেশ ছাড়বেন সাকিব
31 Oct 2019
1880 বার পড়া হয়েছে

ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবেরা
17 Oct 2019
3120 বার পড়া হয়েছে

স্বপ্ন, দু:স্বপ্নের পুরুষ
10 Oct 2019
1905 বার পড়া হয়েছে

স্মৃতির রুমালে শিউলি...
3 Oct 2019
6440 বার পড়া হয়েছে

নির্ঘুম শহরে...
26 Sept 2019
2145 বার পড়া হয়েছে

ধূসর পাণ্ডলিপি
19 Sept 2019
2120 বার পড়া হয়েছে

এক্সপোজড...
12 Sept 2019
2175 বার পড়া হয়েছে

নারী ও শাড়ি ...
5 Sept 2019
2690 বার পড়া হয়েছে

পথের পাঁচালী’র ৬৪
29 Aug 2019
2235 বার পড়া হয়েছে

প্রেম আর যৌনতায় তারা
22 Aug 2019
2135 বার পড়া হয়েছে

যৌনতায়, বিদ্রোহে তাঁরা...
1 Aug 2019
2125 বার পড়া হয়েছে

খুনের সময়ে...
25 Jul 2019
2250 বার পড়া হয়েছে

পথ...
11 Jul 2019
1755 বার পড়া হয়েছে

যে কোন দলই ছিটকে পড়তে পারে
27 Jun 2019
2330 বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টিকাল কবে আসবে নন্দিনী
20 Jun 2019
2935 বার পড়া হয়েছে

স্নানঘরের গান...
2 Jun 2019
2135 বার পড়া হয়েছে

আমার কোনো ভয় নেই তো...
23 May 2019
2055 বার পড়া হয়েছে

রেখার ফারজানা...
2 May 2019
2020 বার পড়া হয়েছে

হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী
25 Apr 2019
4060 বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে...
18 Apr 2019
2050 বার পড়া হয়েছে

আপুদের পথের ভাই ...
4 Apr 2019
2405 বার পড়া হয়েছে

আমাদের প্রাণের বাংলা
28 Mar 2019
2360 বার পড়া হয়েছে

ক্যানভাসে ঝরে পড়া অসুখ
21 Mar 2019
1900 বার পড়া হয়েছে

শেষদৃশ্যে লোরকা
14 Mar 2019
2220 বার পড়া হয়েছে

নেশার ঘোরে লেখক
7 Mar 2019
3535 বার পড়া হয়েছে

একটি বইয়ের গল্পের সঙ্গে...
1 Mar 2019
2330 বার পড়া হয়েছে

বই করেছি চুরি...
21 Feb 2019
4475 বার পড়া হয়েছে

সকালবেলার গুলজার
7 Feb 2019
2245 বার পড়া হয়েছে

বইমেলায় প্রেম...
31 Jan 2019
1765 বার পড়া হয়েছে

অ্যান্ড এ স্পাই...
24 Jan 2019
2700 বার পড়া হয়েছে

আপনার সন্তান কি নিরাপদ
10 Jan 2019
1655 বার পড়া হয়েছে

পুষ্পহীন যাত্রাশেষে মৃণাল সেন
3 Jan 2019
2075 বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ যতো বই আর সিনেমা
13 Dec 2018
3410 বার পড়া হয়েছে

অসুখী মানুষ
6 Dec 2018
2135 বার পড়া হয়েছে

দাম্পত্য সম্পর্কে #MeToo
29 Nov 2018
2435 বার পড়া হয়েছে

দুই নম্বরি...
22 Nov 2018
2300 বার পড়া হয়েছে

অশ্লীল গল্প
8 Nov 2018
7755 বার পড়া হয়েছে

ফুলগুলো সরিয়ে নাও, আমার লাগছে
1 Nov 2018
3665 বার পড়া হয়েছে

লাভ রানস ব্লাইন্ড
25 Oct 2018
2285 বার পড়া হয়েছে

শেষ দৃশ্যে মান্টো
18 Oct 2018
2425 বার পড়া হয়েছে

আমাদের সেই বারান্দায়...
11 Oct 2018
1865 বার পড়া হয়েছে

শীতকাল কবে আসবে সুপর্না?
4 Oct 2018
2530 বার পড়া হয়েছে

কোমায় আমাদের সিনেমা
20 Sept 2018
1880 বার পড়া হয়েছে

আজো বিভূতিভূষণ...
13 Sept 2018
2055 বার পড়া হয়েছে

ভীষণ অচেনা ও একা...
6 Sept 2018
1890 বার পড়া হয়েছে

গোপন কথা...
9 Aug 2018
2075 বার পড়া হয়েছে

খোলা চিঠি ও চুমু
26 Jul 2018
2720 বার পড়া হয়েছে

ফ্রিডা কাহলো এক সূর্যমুখী ফুল
19 Jul 2018
2055 বার পড়া হয়েছে

ঝিনুক নীরবে সহো...
5 Jul 2018
2280 বার পড়া হয়েছে

ফুটবল- রঙ্গ ভরা বঙ্গে
28 Jun 2018
1960 বার পড়া হয়েছে

জানালা কী জানালো...
11 Jun 2018
3885 বার পড়া হয়েছে

বিষয় বাসনা
19 Apr 2018
2635 বার পড়া হয়েছে

মনের রঙ...
15 Feb 2018
2115 বার পড়া হয়েছে

দাড়ি কান্ড...
18 Jan 2018
3310 বার পড়া হয়েছে

চোর, চোর...
28 Dec 2017
5085 বার পড়া হয়েছে

বাঙালির আহার...আহা রে...
21 Dec 2017
4105 বার পড়া হয়েছে

চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে...
7 Dec 2017
3910 বার পড়া হয়েছে

ব্রুটাস তুমিও!
23 Nov 2017
2555 বার পড়া হয়েছে

কি বললেন সরয়ার ফারুকী...
2 Nov 2017
2365 বার পড়া হয়েছে
স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।
Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]
Phone: +8801818189677, +8801717256199