দুই নম্বরি...

ইরাজ আহমেদ

সাহিত্য সম্পাদক, ঢাকা থেকে

প্রকাশ: 22 Nov 2018

1240 বার পড়া হয়েছে

Shoes

ঠকাচ্ছি আর ঠকে যাচ্ছি। জুয়ার টেবিল থেকে আইফেল টাওয়ার, সাহিত্য থেকে খেলার মাঠ ঘুরে রাজনীতি-চলছে জোচ্চুরির পুতুলনাচ। প্রতারণা, ঠকানো, জোচ্চুরি অথবা ইংরেজিতে চিটিং।কথ্য ভাষায় আমরা বলি, দুই-নম্বরি,এটাই এখন পথ-চলতি ভাষা। এক বিশেষ শ্রেণীর মানুষকে চিহ্নিত করার জন্য শব্দ। ঠকানো অথবা প্রতারণা করার  গোটা প্রক্রিয়াটি অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা এক গোপন ঘাতক। মানুষের মনের গভীরে আশ্রয় নেয়া এক তস্কর মানসিকতা।কখন কার ওপর আঘাত হানবে বলা মুশকিল।
একজন মানুষ কেন অন্যকে ঠকায়, প্রতারণা করে? মনের চিকিৎসকদের কাছে এর উত্তর খুব স্পষ্ট নয়। তবে তারা এটা বলছেন, প্রতারণা বা মনের গোয়ালের দুষ্টু গরু।
কেউ ঠকাচ্ছে টাকায়, কেউ মনে। এ এক অন্তহীন প্রক্রিয়া। প্রতিদিন বিস্তিৃত হচ্ছে এর ডালপালা। নতুন রূপে, নতুন কৌশলে সামনে পাতা হচ্ছে ফাঁদ।নির্বুদ্ধি মানুষ পা দিচ্ছে সেখানে। এবার প্রাণের বাংলার প্রচ্ছদ আয়োজনে রইলো প্রতারণা নিয়ে নানা কথা।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সুপ্রাচীন সময় থেকেই প্রতারণার কারবার চলছে। জানা যায়, রোমান সাম্রাজ্যের একেবারে গোড়ার দিকে সম্রাটের অনুগত ‘প্রিটোরিয়ান’ রক্ষী বাহিনী সম্রাটকে হত্যা করে পুরো সাম্রাজ্যই নিলামে তুলেছিল। প্রতারণা করেছিল তাদের ওপর রাখা সম্রাটের বিশ্বাসের সঙ্গে। জুলিয়ানিয়াস নামে এক ব্যক্তি প্রত্যেক সৈনিককে ২৫০টি স্বর্ন মুদ্রা দিয়ে রোমান সাম্রাজ্য কিনে নেয়। এখনকার টাকায় সেটা প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অনেক বছর পরের একটা ঘটনা। এই বিশ্বাস আর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে প্রতারণা করেছিলেন বিখ্যাত অ্যাথলেট বেন জনসন। ১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিকে সোনা জিতে জনসন তার দেশের মানুষকে গৌরবের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশকে মহিমান্বিত করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন  পর জানা গেল পুরো বিষয়টাই ছিলো প্রতারণা। বেন জনসন একশ মিটার দৌড়ে জিততে গ্রহণ করেছিলেন স্টেরোয়েড, যা খেলার দুনিয়ায় সম্পূর্ণ্ নিষিদ্ধ। দেশের মানুষের বিশ্বাস ভেঙ্গেছিলেন জনসন। কেড়ে নেয়া হয়েছিল তার পদক।
ব্যাংকের টাকা, এটিএম বুথ,পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কোনকিছুই প্রতারণার আওতার বাইরে নয় এখন। কথাটির অর্থ হচ্ছে অনৈতিক চিন্তা দ্রুত গ্রাস করছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে, মানুষকে। তাই ‘ব্যাটা দুই নম্বর’ কথাটাও আমাদের ডিকশনারিতে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে।
প্রতারণা করাটা মানুষের অনেক পুরনো অভ্যাস। দিন দিন তার সীমানা বিস্তৃত হচ্ছে, বদলে যাচ্ছে অবয়ব।একটা সময়ে পরীক্ষায় টুকলি বা নকল করাকেই বোঝানো হতো বিশাল প্রতারণা বলে। পাশের পরীক্ষার্থীর লেখা দেখে লিখে ফেলা অথবা উত্তর লেখা কাগজ নিয়ে যাওয়া পরীক্ষার হলে। এই বিষয়টিকে ‘বলা হয় ‘চোথা’। সেই চোথার যুগ এখন শেষ। এখন পরীক্ষার আগের রাতে বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে প্রশ্নপত্র। টাকা দিয়ে শুধু কেনার অপেক্ষা।
ইতিহাসের পাতায় এই প্রতারণার বহু কাহিনি লেখা আছে। ১৯২৫ সালের ঘটনা। ফরাসী দেশের এক কাউন্ট আইফেল টাওয়ার বিক্রি করে ফেলার ব্যবস্থা প্রায় করেই ফেলেছিলেন। চমকে উঠলেন তো? ঘটনা কিন্তু সত্যি। ভিক্টর লাস্টিং নামে সেই কাউন্ট প্রশাসনে কর্মরত ছিলেন। টাওয়ার মেরামতের জন্য মিস্ত্রি আহ্বান করা হলে কাউন্ট মহাশয়ের মাথায় খেলে গেল অভিনব প্রতারণার কৌশল অথবা দুই নম্বরী বুদ্ধি। তিনি কাগজপত্র জাল করে আইফেল টাওয়ার বিক্রির দরপত্র বানিয়ে ফেললেন। জোগাড় করে ফেললেন দুই ক্রেতা। টাওয়ারের দাম হাঁকলেন তখনকার দিনে দুই লক্ষ মার্কিন ডলার। আর বিক্রিটা দুই ক্রেতার অনুকূলে নিয়ে যাবার জন্য খেলেন মোটা অঙ্কের ঘুষ। তারপর? না টাওয়ার আর বিক্রি হয়নি। ভিক্টর লাস্টিং মোটা অঙ্কের ঘুষের টাকা নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন আমেরিকায়। পরে অবশ্য সেখানেও তিনি বড় ধরণের এক জালিয়াত হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।
শিল্প-সাহিত্যে নকল বা জালিয়াতির ইতিহাস যে নেই তা নয়, বরং সে ইতিহাসও বেশ প্রাচীন। শেক্সপিয়ারের মতো জগদ্বিখ্যাত নাট্যকার অথবা টি এস এলিয়টের মতো বিখ্যাত কবির বিরুদ্ধেও নকলের অভিযোগ উঠেছে। আমাদের রবীন্দ্রনাথও নকলের অভিযোগ থেকে বাদ যাননি। তার গোরা উপন্যাসের সঙ্গে জর্জ এলিয়টের ‘ফেলিক্স হল্ট দ্য র্যাডিক্যাল’-এর সঙ্গে বিস্তর মিল খুঁজে পাওয়া যায় বলে তুলনামূলক সাহিত্যের পণ্ডিত বিশ্লেষকরা বলতে চেয়েছেন নানাভাবে। রবীন্দ্রনাথের একটি জনপ্রিয় গান ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’ চিলির স্বনামধন্য কবি পাবলো নেরুদা স্প্যানিশ ভাষায় অবিকল অনুবাদ করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।

ঘোস্ট রাইটার অথবা ভৌতিক লেখক বিষয়টা তো এখন পশ্চিমা সাহিত্যে সুপরিচিত বিষয়। সাহিত্যিক হবার স্বপ্নে বিভোর কিছু মানুষ টাকার বিনিময়ে একজন লেখককে ভাড়া করে। সেই অজ্ঞাতনামা লেখক তার হয়ে লিখে দেয় উপন্যাস, গল্প, কবিতা অথবা নাটক। অনেক সময় সেই লেখা পাঠকপ্রিয়তাও অর্জন করে। কিন্তু সবার চোখের আড়ালে থেকে যায় অজ্ঞাত লেখক। এজন্যই তাকে বলা হয় ‘ভৌতিক লেখক’।পৃথিবীর অনেক দেশেই রাজনৈতিক নেতা অথবা রাষ্ট্র প্রধানরা আত্নজীবনী লিখতে ভাড়া করেন এরকম লেখক।পাঠকের সঙ্গে এও এক প্রতারণা। অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেয়া অথবা নিজের একটি লেখা চাররকম করে ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করার রেওয়াজ আমাদের দেশেও আছে। আশির দশকে বাংলাদেশের এক শিশু সাহিত্যিকের বিরুদ্ধে সরাসরি নকলের অভিযোগ উঠেছিলো। যে উৎস থেকে তিনি চুরি করেছিলেন তাও প্রকাশিত হয়েছিল আরেকটি পত্রিকায়। তবে সাহিত্যে অন্য সাহিত্যিকের লেখার মাধ্যমে প্রভাবিত হওয়ার একটি বিষয় প্রচলিত আছে। তাকে ঠিক প্রতারণার খাতায় ফেলে দেয়া যায় না।
এই প্রতারণা অথবা ঠকানোর বিষয় নিয়ে সাহিত্যে রচিত হয়েছে বহু নাটক, উপন্যাস, গল্প, আর কবিতা।শেক্সপীয়রের ‘হ্যামলেট’ অথবা ‘ওথেলো’ নাটক লেখাই হয়েছে প্রতারণার কাহিনি নিয়ে।যুবরাজ হ্যামলেটের মা আর চাচা মিলে তাকে প্রতারণা করেছিল। খুন করেছিলো তার পিতাকে। ওথেলো নাটকেও প্রতারণা করেছিল ওথেলোর বন্ধু। তবে শেক্সসপীয়ারের নাটকে রাজনৈতিক প্রতারণা ইতিহাসখ্যাত হয়ে আছে ‘জুলিয়াস সিজার’ নাটকে। সেখানে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারকে খুন করেছিলো তার সবচাইতে কাছের বন্ধু ব্রুটাস। উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল। এই নাটকে সিজারের শেষ সংলাপ তো এখনো বহু ভাবে উচ্চারিত হয়-ব্রুটাস তুমিও!। প্রতারিত হৃদয়ের শেষ আক্ষেপ।

রাজনৈতিক প্রতারণার কথা যখন উঠলো তখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের কথা না বললেই নয়।এই ভদ্রলোকের নাম পৃথিবীর প্রতারণার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওয়াটারগেট কেলেংকারির মাধ্যমে। আমেরিকার গনতন্ত্রের ইতিহাসে এই ঘটনাকে চিহ্নিত করা হয় সবচাইতে বড় প্রতারণা হিসেবে। নিক্সন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার প্রতিপক্ষের অফিসের টেলিফোনে আড়িপাতার যন্ত্র বসিয়ে তাদের কথাবার্তা শুনে নিতেন। এই ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে গেলে রিচার্ড নিক্সনকে পদত্যাগ করতে হয়।নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার দুজন সাংবাদিক এই চক্রান্তের কথা ফাঁস করে দেয় তাদের রিপোর্টে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া মার্কিন নির্বাচনেও ভোট জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। আর অভিযোগ এসেছে খোদ একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর কাছ থেকেই।
সমাজবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, সামরিক অভ্যুত্থানও এক ধরণের প্রতারণা বা দুই নম্বরী।বিশ্বাসী সশস্ত্র বাহিনী ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যা করছে ক্ষমতা দখলের আকাঙ্ক্ষায়।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশেও এরকম নজির বহু রয়েছে।

পৃথিবীর অনেক পুরনো একটি কথা জুয়াচুরি। এই কথার সূত্র ধরে তাসের জুয়া খেলার সঙ্গে বিষয়টি জড়িয়ে আছে।কিন্তু শুধুই কী তাস? রেস থেকে শুরু করে বক্সিং, কুস্তি এবং অধুনা ক্রিকেট-সব জায়গাতেই চলছে জুয়া আর প্রতারণা।
ক্রিকেটে ‘বেটিং’ এখন এক সুপরিচিত টার্ম। আন্তর্জাতিক চক্র বাজি ধরে, খেলোয়াড়দের কিনে নিয়ে খেলার ফলাফল পাল্টে দিচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ক্যাসিনোতে ক্রটিযুক্ত রুলেত যন্ত্র বসিয়ে অথবা গোপন চিহ্নযুক্ত তাস দিয়ে নিঃস্ব করা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।রেসের মাঠে ঘোড়াকে ওষুধ খাইয়ে হারিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তাসের খেলায় এখন পেশাদার জুয়ারিরা বাজি ধরে হেরে গিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছে অন্য খেলোয়াড়কে। এই খাতেও ক্যাসিনো মালিকরা বিনিয়োগ করছে অনেক টাকা।
এতো গেলো জুয়ার বাজারের কথা। কিন্তু মনের বাজারেও তো ঢুকে পড়ছে জুয়াচুরি। ঘটছে প্রতারণার ঘটনা।প্রেম থেকে শুরু করে একই ছাদের তলায় স্বামী স্ত্রী সবাই এক প্রতারক চক্রের মাঝে আটকে গেছে। অনৈতিক আহ্বান, বিশ্বাসহীনতা আর অর্থের লোভে ভালোবাসার মানুষকেও প্রতারিত করতে আটকাচ্ছে না।
সামান্য স্বার্থ হাসিল করতে একান্ত যৌন সম্পর্কের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ইন্টারনেটে।মানুষের সামনে উন্মুক্ত হচ্ছে ভালোবাসার কোমল শরীর।স্ত্রী স্বামীকে বিশ্বাস করতে পারছে না। স্বামী বিশ্বাস করতে পারছে না স্ত্রীকে। এ যেন এক দুঃসময়ের কাল।  আজকাল মেয়েরা প্রেমের ফাঁদ পেতে টেনে আনছে পুরুষদের। আবার পুরুষরাও কম যাচ্ছে না এই কাজে। সমাজে বাড়ছে ব্ল্যাকমেইলিং। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় তো এরকম প্রতারকরা থাবা পেতে বসে আছে মানুষকে ফাঁদে ফেলার জন্য। লোভী এক প্রতিবেশ মানুষের নৈতিকতার আগল ছিন্ন করছে। ফলে বাড়ছে প্রতারণার ঘটনা। একেই তো বলা যায় ভালোবাসার দুই নম্বরী। স্বামী-স্ত্রী শারীরীক ভাবেও আর একে অপরের কাছে আর সৎ থাকছে না।
এই তো কয়েক মাস আগের কথা, হলিউডের অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। অভিযোগ সন্তান পীড়ন আর গোপন প্রণয়। শেষ পর্যন্ত খবর রটলো পিট সত্যি সত্যি প্রেমে জড়িয়ে গেছেন অন্য এক অভিনেত্রীর সঙ্গে। ভালোবাসার বিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো প্রতারণার জঙ্গলে।
মনোবিজ্ঞান কী বলে এই দুই নম্বরী অথবা লোক ঠকানোর মানসিকতা নিয়ে? জটিল প্রশ্ন। কোন সহজ উত্তর এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি । তবে বিজ্ঞান বলছে, একটি শিশুর মনের ওপর ছোটবেলা থেকেই যদি নেতিবাচক ঘটনার চাপ পড়ে তাহলে বড় হয়েও সে নেতিবাচক ভাবনাগুলোকে নিয়েই নাড়াচাড়া করে বেশী।পরিবারের কাছে বিশেষ করে মায়েদের কাছ থেকে ছেলে বা মেয়ে সন্তান শেখে মনের সব কথা অকপটে প্রকাশ না করার বিষয়টা।এই চেপে থাকার বিষয়টাই একসময় সন্তানের মনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে।
অনেক সময় সংসার থেকেই শিশুরা শেখে একটি কথা-কাউকে পুরোটা বিশ্বাস করতে নেই। ছোটবেলা থেকে বিশ্বাসহীনতা শিখে ফেলাটাই পরের জীবনে তার মানসিকতাকে ঠেলে দেয় ভুল প্রান্তে। বিশ্বাস হারানোর সংস্কৃতি থেকেই সে অন্যের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করতে শিখে ফেলে, শেখে প্রতারণা করতে।
শিশুকে তার দূর্বলতা আর অসফলতার কথা চোখে বারবার আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়াটাও একটি বড় সংকট তৈরীর পেছনের কারণ। সে ছোটবেলা থেকেই ভাবতে থাকে সে দূর্বল, সে অসফল। ফলে বড় হয়ে তার মনের মধ্যে এক ধরণের প্রতিহিংসার মানসিকতা তৈরী হয়। আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় প্রতারণা অথবা দুই নম্বরী করার মানসিকতা।

ছবি: প্রাণের বাংলা ও গুগল

মন্তব্য করুন

Share Article

আরো পড়ুন

আরো পড়ুন

স্বত্ব © ২০১৬ - ২০২৩ প্রাণের বাংলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: আবিদা নাসরীন কলি।

Email: Article: [email protected], Avertising: [email protected]

Phone: +8801818189677, +8801717256199